ক্লাস এইটে পড়ার সময় হঠাৎ একদিন রফি সাহেবের গান কানে আসে৷ গুনগুন করতে করতে নিজেরও গাইতে ইচ্ছে করে৷ সেই থেকেই যাত্রা শুরু সঙ্গীতশিল্পী শিক্ষক আনন্দ রাও এর৷ আস্তে আস্তে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন৷ পড়াশুনার পাশাপাশি চলছিল গান৷
হায়দ্রাবাদে জন্মেছেন। দক্ষিণ ভারতীয় মানুষটির মাতৃষা তেলগু। পড়াশোনা সূত্রে কলকাতায় এসে ভালোবেসে ফেলেন বাংলাকে৷ মহম্মদ রফির গান গাইতেন ভালোবেসে। স্নাতকোত্তর শেষে ব্যাঙ্গালোরে যান।ব্যাঙ্গালোর থেকে দুবাই ইত্যাদি জায়গায় হায়দ্রাবাদ, বিজয়ওয়াড়া ইত্যাদি জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন। তারপর দেশ-বিদেশেএকাধিক অনুষ্ঠান করেন৷ ১৯৯৫ সালে শ্রীরামপুর মাহেশে আসেন শিক্ষকতা করতে৷
তখন থেকেই নিজের গান করার ইচ্ছে হল৷ যেহেতু ছোট থেকেই মহম্মদ রফির গান তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে, তাই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন গানে গানে৷ BE ZUBAAN AANSOO গানটি মহম্মদ রফির প্রতি আনন্দ রাও এর শ্রদ্ধার্ঘ্য৷ আনন্দ রাও এর মতে, ভারতবর্ষে এই প্রথম রফি সাহেবকে অরিজিনাল কোন গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এর আগে কেউ করেননি৷
এই গানের কথা লিখেছেন জেড. এ.ওসমানি, সুর করেছেন নগেন্দ্র চৌধুরী, সঙ্গীতায়োজন করেছেন গাম্বলি ব্যানার্জী৷ গত ২৩ ডিসেম্বর মহম্মদ রফি’র পুত্র শাহিদ রফি ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে এসেছিলেন৷ তিনি আনন্দ রাও এর গানের উদ্বোধন করেন।
তারপর আনন্দ রাও এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে রফি সাহেবের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য স্বরূপ নিবেদিত এই গান৷ সমগ্র গান জুড়েই ভক্তের ভালোবাসা তাঁর ভগবানের প্রতি নিবেদিত৷ মহম্মদ রফি যে সুরজগতে সমুজ্জ্বল চিরকাল গানের মাধ্যমে সেই কথাও প্রকাশ করেছেন আনন্দ রাও।