TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

করোনা আক্রান্ত ‘বন্দে ভারত মিশন’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক

করোনার আক্রান্ত ট্রাফিক পুলিশ। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি, ট্রাফিক কোভিড পজিটিভ। সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ উপসর্গহীন তিনি। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করা হবে। তিনি করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁর স্ত্রী, বাড়ির পরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী, গাড়িচালক-সহ ৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর মধ্যেও আপাতত করোনা সংক্রমণের কোনো উপসর্গ নেই৷   এর আগে কলকাতা ট্রাফিক গার্ডের এক অফিসার ও কর্মী মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাফিক পুলিশের এই অফিসার ‘বন্দে ভারত মিশন’-এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ভিন রাজ্য থেকে ফেরা যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর কাজের তদারকি করছিলেন তিনি। সেখান থেকেই কি সংক্রমণ? এই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ মহলের একাংশে। যদিও তাঁর উপসর্গ ছিল না। তবু সোয়াব টেস্ট করানোর পর শনিবার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় নিউটাউনেক আবাসনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন সপরিবারে। তাঁর অফিসটি স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন কোভিদ-১৯ রুখতে সুরক্ষাবিধি মেনে প্রত্যহ পাঁচশো পুণ্যার্থীর হবে অমরনাথ দর্শন

এমনিতে বিধাননগর এলাকার করোনা পরিস্থিতি বিশেষ ভাল নয়। বিধাননগর সাইবার সেল এবং উত্তর থানায় করোনা সংক্রমণ বেশি। এখানে সাব ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, আধিকারিক এখনও করোনার সঙ্গে লড়ছেন। এছাড়া বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ ব্যারাকের ৫ জনকে এক সপ্তাহ আগেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। স্যানিটাইজ করা হয়েছে ব্যারাকটি। সল্টলেকের দত্তাবাদ, তেঘরিয়া, নারায়ণপুর-সহ একাধিক এলাকায় করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিধাননগর পুরনিগমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এসব এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত। তারউপর পুলিশের মতো ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন, ফলে চিন্তা বাড়ছেই।

আরও পড়ুন আজ থেকে বাংলায় শুরু হল করোনা-যোদ্ধাদের জয়যাত্রা

এই প্রথম ডিসি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ অফিসার এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। দিন দুয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের এক ডিসি’র স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। তবে অনেকেই সেরে উঠছেন। লকডাউনের প্রথম থেকেই পুলিশকে কার্যত মারণ ভাইরাসের আক্রমণের সামনে থেকে দাঁড়িয়ে লড়তে হয়েছে। এখনও সেই লড়াই চলছে।