TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

চুল নিয়ে যখন চিন্তায় বলিউড

অকালে অনেক মানুষের চুল পড়ে যায়। এই চুল পড়ার পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চললে দেখা যায় টাক। এই টাক ঢাকতে কেউ ব্যবহার করেন পরচুলার কেউ বা অস্ত্রোপচারের সাহায্যে নতুন চুল গজিয়ে নেন, অর্থাত সোজা কথায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করান। এই চুল পড়ার হাত থেকে কিন্তু নিস্তার পান না বলিউড সেলেবরাও। আজ্ঞে হ্যাঁ, যতই তাঁরা নিজেদের চুলের পরিচর্যা করুক না কেন  ‘ ইন্দ্রলুপ্ত ‘ হয় তাঁদেরও। তাঁরা অবশ্য একদম কোনো ঝুঁকি না নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়ে নেন। বি টাউনে কান পাতলেই শোনা যায় এ ব্যাপারে বেশ কিছু হেভিওয়েট ছবি তারকার নাম। বিভিন্ন সময়ে এই তারকাদের ছবির চুলের দিকে তাকালেই স্পষ্ট বোঝা গেছে তাঁদের চুলের ঘনত্বের ফারাক!

একটা সময় দীর্ঘদিনের জন্য গোবিন্দাকে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি। শোনা যায়, তিনি নাকি গ্রিসে গিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করিয়ে আসেন।টেলিভিশনের অন্যতম সেরা কমেডিয়ান কপিল শর্মাকেও সুন্দর চুলের প্রয়োজনে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হয়েছিল।তালিকায় রয়েছেন অক্ষয়কুমারও।৪০ বছর বয়সের পর থেকেই নাকি চুল উঠে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন খোদ অক্ষয় কুমার। তিনি নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়ে আসেন বলে শোনা যায়।এছাড়া সঞ্জয় দত্ত নাকি সাত সাতবার হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন। প্রথম প্রথম অবশ্য তিনি চুলে কদমছাঁট ছেঁটে বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজ না হওয়াতে  অগত্যা….

আরও পড়ুন : চুল পড়ার পরিমাণ ক্রমাগত বেড়ে চললে দেখা যায় টাক।

অমিতাভ বচ্চনকেও এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। চুল ভীষণ পাতলা হয়ে গেছিল তাঁর। অগত্যা উপায় না দেখে ছোটপর্দার ‘ কেবিসি ‘ তে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত হওয়ার আগে সোজা হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়ে একেবারে নতুন লুকে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

সলমন খান তো এ ব্যাপারে খুল্লম খুল্লা।  দীর্ঘদিন এই চুল সমস্যায় ভুগছিলেন ভাইজান। অবশেষে সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় ‘ জানেমন ‘ ছবির শ্যুটিংয়ের মাঝখানেই শুটিং শিকেয় তুলে তিনি নাকি সোজা আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন। হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এর জন্য। কানাঘুষো শোনা যায় ভাইজান নাকি ৪বার অস্ত্রপচার সহ হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করেন।