TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

নবান্নে করোনা আক্রান্ত এক আধিকারিক

 নবান্নের এক আইএএস অফিসার করোনা আক্রান্ত। ওই মহিলা অফিসার একটি দফতরের যুগ্ম সচিব। এর আগে নবান্নতে আট জনের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশই গাড়ি চালক। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নকে পুরো মাত্রায় সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : বলাগড়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের আহ্বানে দীর্ঘমিছিলে বিজেপি ভেঙে বহু কর্মীর ঢল
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই আইএএস অফিসার দীর্ঘদিন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি কাজে যোগ দেন। কিন্তু সোমবার ওই আইএসএস অফিসারের পরিবারের তরফে তাঁর দফতরে ফোন করে জানানো হয়, মহিলার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নবান্নে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তাঁর ঘর স্যানিটাইজ করা হয়েছে। অফিসে এসে ওই অফিসার কাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই অফিসারের ঘর নবান্নের ৬ তলায়।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর পথে প্রায় চার হাজার বেসরকারি বাস, স্বস্তি যাত্রীদের
নবান্নে সূত্রে জানানো হয়, গত শুক্রবার যখন ওই অফিসার অফিসে এসেছিলেন, তখনই তাঁর জ্বর ছিল। এরপরই নিয়মমাফিক তাঁকে পরীক্ষার কথা জানানো হয়। সেই পরীক্ষাতেই মহিলার করোনা ধরা পড়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। গত ৩ জুন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নবান্নের দুই গাড়ি চালকের করোনা ধরা পড়েছে। বাকি গাড়ি চালকদেরও টেস্ট করাতে বলা হয়েছে।’ সেই প্রথম নবান্নে করোনার থাবা। এরপর আরও ৬ জনের করোনা ধরা পড়ে নবান্নে।
উল্লেখ্য, সরকারি অফিস খোলার পরপরই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, জ্বর, সর্দি কাশির মতো কোনও উপসর্গ থাকলে কর্মীদের অফিস আসতে হবে না, সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই কাজ করবেন কর্মীরা। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, কনটেইনমেন্ট জোনে বাড়ি হলে সেখানকার কর্মীরাও অফিসে আসবেন না।
আরও পড়ুন : চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য বিমানে ২৫ শতাংশ ছাড় আনল এই সংস্থা
শুধু তাই নয়, দুই শিফটে সরকারি কর্মীদের কাজের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীদের জন্যে করোনা প্রতিরোধে জারি হয়েছে একাধিক নিয়ম। যেমন এক ঘরে ১০ জনের বেশি কর্মী বসতে পারবেন না। প্রত্যেক কর্মীর ডেস্কের মধ্যে ২ মিটার দূরত্ব রাখা বাধ্যতামূলক। অফিসের গোটা সময়টাই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক কর্মীকেই নিজের কম্পিউটার, সুইচবোর্ড, দরজার লক স্যানিটাইজ করতে হবে। যাঁরা অফিস আসতে পারবেন না, তাঁদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে হবে। এত সতর্কতা জারি করেও অবশ্য করোনার গ্রাস থেকে বাঁচানো গেল না নবান্নকে।