আফগান মেয়েদের জন্য আজকেই খুলেছিল স্কুলের দরজা। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের সেই দরজা বন্ধ করে দিল তালিবান। জানা গেছে, আজ থেকে তালিবানের তরফে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ঘোষণা কার্যকর হওয়ার পরপরই নয়া ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করে তালিবানের মুখপাত্র ইমানউল্লাহ সমানগনি। তবে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ইমানউল্লাহ বলে, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোনও কথা বলা বারণ আছে।’
তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে ১৯৯৬ সালের মতো এবারও তারা মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে। তবে তালিবান প্রাথমিক ভাবে বলেছিল যে ‘তারা নতুন ভাবে দেশ শাসন করবে।’ যদিও বর্তমানে সেই ‘নতুন তালিবানের’ দর্শন কোথাও মিলছে না।
১৩৩ যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে চিনের বিমান
এদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু দেশই ‘পড়াশোনার অধিকারের’ শর্ত রেখেছিল। এই অবস্থায় তালিবানি সরকারকে শুধুমাত্র পাকিস্তান, চিনের মতো গুটিকয়েক দেশই স্বীকৃতি দিয়েছে। তালিবানের এই নারী বিদ্বেষী মনোভাব আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ণ করবে বলে মত বিশ্লেষকদের।