TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

সেরা বিজ্ঞানীর নামের তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক তথ্য থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য যে, বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের ২ শতাংশের মধ্যে আসন করে নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন শিক্ষক। গত ১৯ অক্টোবর এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্নরকম গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রকাশ করে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। দেশের মধ্যে যাদবপুরের পরেই আছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন বিজ্ঞানী স্থান পেয়েছেন তালিকায়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ।হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন বিজ্ঞানী এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন বিজ্ঞানীর নাম এই তালিকায় রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন বিজ্ঞানী এই তালিকায় আছেন।

সারা দেশ মিলিয়ে সর্বমোট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটের ২০৪৯ জন এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আইআইএসসি) ১১৪ জন বিজ্ঞানী এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন এবং দেশের উচ্চতর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছেন।

আরো পড়ুন

শুয়োরের কিডনি প্রতিস্থাপিত হল মানুষের শরীরে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্য নিশ্চিতভাবেই সমগ্র দেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষভাবে গর্বের বিষয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় যে মেধার চর্চায় এগিয়ে তা আরো একবার প্রমাণ করেছে এই তথ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এতজন শিক্ষকদের নামের এরকম একটি মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে এবং গবেষণাক্ষেত্রে আশার আলো জাগিয়েছে। আগের বছর এই সংখ্যাটা ছিল ১৯০০। সেই বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন নিজেদের কাজের জন্য তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।

গত দুই বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রে এই সাফল্য, এই কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার গবেষণার মানকেই ধরা দিয়েছে ধারাবাহিকভাবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই কথা উঠে আসছে যে, ইউজিসি অতি সম্প্রতি সেরা প্রতিষ্ঠানের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।