নয়াদিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০: বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট অব্যাহত। এখনও বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আশার আলো দেখিয়ে পরিসংখ্যান বলছে, আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার এখন অনেকটাই কম।
তবে এই ভাইরাস কখন, কিভাবে, কার শরীরে প্রবেশ করবে বা এই ভাইরাসের আক্রমণে কার শরীরে কি রকম প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও পর্যন্ত কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা, মৃত ১১
করোনা সংক্রমণের গতি রুদ্ধ করতে এক এবং একমাত্র হাতিয়ার যত বেশি সম্ভব মানুষের কোভিড পরীক্ষা। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কনটেইনমেন্ট জোনে যারা বাস করেন তাঁদের সবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন না থাকলেও করোনা পরীক্ষা করা যাবে। বিশেষত যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা অনেক বেশি, সেখানকার বাসিন্দাদের এই নিয়ম মানতেই হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘যদি ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ফল নেগেটিভ হওয়ার পরও কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অতি অবশ্যই RT-PCR টেস্ট করাতে হবে।
আরও পড়ুন ফেডারেশনের সঙ্গে মতানৈক্য, স্বশাসিত হল আর্টিস্ট ফোরাম
এছাড়া, যাঁরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত করছেন তাঁদেরও কোভিড পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক।’
তবে করোনা পরীক্ষার অভাবে জরুরী কোন প্রক্রিয়া যেন থমকে না থাকে সেদিকেও রাজ্যগুলিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ মেডিকেল বোর্ড। যেমন, কোনও প্রসূতির চিকিৎসার বন্দোবস্ত যাতে কোভিড পরীক্ষার জন্য আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাত্র RT-PCR টেস্ট করলেই নিশ্চিত ভাবে জানা যায় সত্যিই কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। তবে রুটিন নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।