বঙ্গ নিউস, ৮ নভেম্বর, ২০২০ঃ হোয়াইট হাউজ ছাড়লেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আনবেন মেলানিয়া ট্রাম্প। তাঁদের পনেরো বছরের দাম্পত্য শেষ হয়ে গেছে আগেই। এখন প্রতিটা মুহূর্ত গুনছেন তিনি, কবে মুক্তি পাবেন। ওমারোসা ম্যানিগাল্ট নিউম্যান নামে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের এক প্রাক্তন সহকারী সম্প্রতি সামনে এনেছেন এমনই বিস্ফোরক তথ্য।
আরও পড়ুন লোকাল ট্রেনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা
আমেরিকার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে নিউম্যান জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে থাকাকালীন ট্রাম্পকে ছেড়ে যদি মেলানিয়া চলে যেতেন, তাহলে তাঁকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার কোনও না কোনও উপায় বার করে ফেলতেন ট্রাম্প। সে কারণেই দাঁতে দাঁত চেপে এই অস্বস্তিকর দাম্পত্য সহ্য করতে বাধ্য হয়েছেন মেলানিয়া।
নিউম্যান আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্প আর মেলানিয়া একই বাড়িতে থাকলেও একসঙ্গে থাকেন না। বাড়িতে দুজন সম্পূর্ণ আলাদা থাকেন। কারও সঙ্গে কারও বিশেষ কোনও সংস্রবও নেই। যদিও প্রেসিডেন্টের যে কোনও প্রশাসনিক সফর বা কর্মসূচিতে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া অংশ নিতেন। তবে তা নেহাতই নিয়মরক্ষা বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের এই প্রাক্তন সহকারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেলানিয়ার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার খবর পেয়ে মেলানিয়া হতাশায় কেঁদে ফেলেছিলেন। কারণ তাঁকে আবারও ট্রাম্পের সঙ্গে থাকতে হবে এবার। নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে পাকাপাকি আসতে পাঁচমাস সময় নিয়েছিলেন মেলানিয়া। প্রধানত ছেলের স্কুল শেষ করতে হবে বলেই ওয়াশিংটনে এসেছিলেন মেলানিয়া।
আরও পড়ুন শ্রাবন্তীর নয়া ইনিংস
যদিও জনসমক্ষে তাঁদের ‘নির্ঝঞ্ঝাট দাম্পত্য’ বিষয়ে ট্রাম্প আর মেনেলিয়া দুজনেই একমত, তবু নিউম্যান বলছেন সম্পূর্ণ আলাদা কথা। তাঁর দুই স্ত্রী মেলেনিয়া আর মারিয়া ম্যাপল-এর সঙ্গে প্রাকবিবাহ পর্বে মন্ত্রগুপ্তির আইনি চুক্তি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁরা কেউই ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারবেন না।
নিউম্যানের এই বিস্ফোরক দাবি সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে জোর আলোড়ন। তাহলে রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে সত্যিই এবার রাজকন্যাও হারাচ্ছেন সদ্যপ্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!