TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

‘আনারুলকে গ্রেফতার করুন, কোনও অজুহাত চলবে না’, রামপুরহাটে পৌঁছেই নির্দেশ মমতার

রামপুরহাটে পৌঁছেই তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন, আগুন ধরার পরই আনারুলকে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার পরেও পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেননি আনারুল। তাই তাকে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। কেন পুলিশ পাঠায়নি সময়মতো, তা দেখতে হবে বলে জানান। মমতার কথায়, সময় মতো পুলিশ পাঠানো গেলে এই ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের এসডিপিও-র ভূমিকার সমালোচনা করেন মমতা। সোমবার রাতে প্রথম খুন হন তৃণমূলের উপ পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার পরই সতর্কতা জারি হল না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। মমতা জানিয়েছেন, বগটুইয়ে আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও একটি খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও আইসি, এসডিপিও, ডিআইবি, নিজেদের দায়িত্ব পালন করেননি। পরিস্থিতি জেনেও পুলিশকে কাজে লাগানো হয়নি। সকলের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান মমতা। এমন ভাবে মামলা সাজাতে হবে, যাতে কয়েক বছরের মধ্যে জামিন মঞ্জুর না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়ে দেন মমতা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে  রামপুরহাট পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে সার্কিট হাউস যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেখানে না গিয়ে, সরাসরি বগটুইয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “প্রথমেই বলি, এই ঘটনা ভীষণ ভয়াবহ। এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। পরশু সকালে যখন প্রথম শুনি, সঙ্গে সঙ্গে ববিকে বলি, তুই ইমিডিয়েটলি যা। কেষ্টকেও পাঠাই। আমি ভাবতে পারিনি এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আধুনিক যুগে রয়েছি, তাও সারা বিশ্বে যুদ্ধ হচ্ছে। এখানেও অশান্তির আগুন শুধু কয়েকটি লোকের জন্য।” মমতা সাফ জানিয়েছেন, পুলিশ হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে, কয়েক জনের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর বদনাম হবে, তা বরদাস্ত করা হবে না।

বিশ্বের সবথেকে দূষিত ভারতের দিল্লি, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের ঢাকা

তাঁর সাফ কথা, “এমন আচরণ থাকলে পুলিশের চাকরি না করাই ভাল।” গোটা এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানোর নির্দেশও দেন মমতা। সোমবারের পর থেকেই এলাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। মমতার নির্দেশ, গ্রামের মানুষকে পুলিশি নিরাপত্তা গ্রামে ফিরিয়ে আনতে হবে, বাড়ির ভিতর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাঁরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা পান, সেই দায়িত্বও পুলিশের।