TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

বাজিবিহীন হল না দীপাবলী, দায় কার?

কলকাতা, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ঃ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্টের রায়কে অগ্রাহ্য করেই শহর থেকে শহরতলি সবত্র বাজি ফাটল, পুলিশের প্রচারকে উপেক্ষা করেই শহরের অভিজাত আবাসনে পুড়ল বাজি। কিন্তু এই দায় কি শুধু পুলিশেরই? উঠছে প্রশ্ন। বাজি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পরই বাজি রুখতে তৎপর হয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। নাকা চেকিং থেকে মাইকিং প্রচার , সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার কোনো কিছুতেই খামতি রাখেনি কলকাতা পুলিশ। তবুও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুর , ভবানীপুর থেকে শুরু করে উল্টোডাঙ্গা, সিথি, জোড়াবাগানের মত এলাকাতে বাজি পুড়ল।

আরও পড়ুন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের

যদিও লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে পুজোর আগেই সাড়ে চার হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জন কে। তবুও পুরোপুরি দুষনমুক্ত করা গেল না শহরকে। এর দায় কি শুধুই পুলিশের নাকি মানুষের সচেতনতারও। পুলিশের দাবি কলকাতার বাজি বাজার বন্ধ করে দিলেও অনেকেই জেলা থেকে গোপনে বাজি কিনেছে। এছাড়াও শহরের বহুতলে গোপনে বাজি ফাটানো হয়েছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। কলকাতার যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন যেমন নির্দেশ ছিল বাহিনী সেইভাবেই কাজ করেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ দুষনমুক্ত হল না কেন সেই প্রসঙ্গে লেকথানার এক পুলিশকর্মীর বক্তব্য পুলিশ তো সুপারম্যান নয় আর প্রত্যেকের ঘরে ঢুকে বাজি খোঁজাও সম্ভব হয়। শুধু পুলিশ কে দোষ না দিয়ে মানুষকে নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানো আটকাতে না পারা টা যদি পুলিশের ব্যর্থতা হয় তাহলে বাজি ফাটানোটা মানুষের ব্যর্থতা।