TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

সুখবর, মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হতে পারে পুজোর আগেই 

মাঝেরহাট ব্রিজের নবনির্মাণে রেললাইনের উপরের ৭৬ মিটার ঝুলন্ত ইস্পাতের পরিকাঠামো বসানো মাত্রই সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা কার্যত সম্পূর্ণ করে ফেলল রাজ্য সরকার।
জুনের ২ তারিখ থেকে এই ঝুলন্ত অংশের কাজ শুরু করেন পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা। মাঝরাতে দপ্তরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এই ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্রিজের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ করলেন স্বয়ং পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন :  ফের বদলাচ্ছে আবহাওয়া, উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা 
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আচমকাই ভেঙে পড়ে শিয়ালদহ-বজবজ সেকশনের রেল লাইনের উপরের প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো মাঝেরহাট ব্রিজ। বেহালা, ঠাকুরপুকুর, ডায়মন্ডহারবার থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তৃত জনপদের কয়েক লক্ষ মানুষ অসুবিধের সম্মুখীন হয়৷
বর্ধমান রোডের দিক থেকে শুরু শেষ হওয়া এই বিশাল ফ্রেম শেষ হল আলিপুর মিন্টের কাছে গিয়ে। মাঝে দু’টি পিলারের সাপোর্ট রয়েছে। ছয় মিটার পর পর গার্টার দিয়ে পৃথক পৃথক অংশ জুড়ে ৭৬ মিটার ঝুলন্ত অংশ তৈরি করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
আরও পড়ুন :  আজ শনিবার, কেমন যাবে আজকের দিন! জেনে নিন আজকের রাশিফল
পুজোর আগেই ভেঙে পড়া ব্রিজ নতুনভাবে নির্মাণ সম্পূর্ণ করার টার্গেট রয়েছে জানিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী। তিনি জানান, ৬৫০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের ৭৬ মিটার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সেই ঝুঁকি নিয়েও টার্গেট ও সময় ধরে যে কাজ হল তার কৃতিত্ব ইঞ্জিনিয়ার ও পূর্ত দপ্তরেরর কর্মীদের।
করোনার আতঙ্কে জেলা থেকে আসা ব্রিজের নির্মাণকর্মীরা মাঝে মধ্যে না বলেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন, তাই ব্রিজের কাজে একটু হলেও সময় বেশি লেগেছে। তবে পুজোর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ ফের চালু হলে দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কাটবে।
একইসাথে খিদিরপুরের নিকাশির বৃহৎ ও মোটা পাইপ বসানোর কাজ প্রায় সমাপ্ত । মাঝেরহাটের পিলারের পাশ দিয়েই যাচ্ছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের লাইনও। দু’দিন আগে পরিদর্শন করে নির্মাণকার্য আরও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কারণ ব্রিজের নিচের নিকাশি পাইপ বসানো সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত খিদিরপুর, মোমিনপুর ও ইকবালপুরের বৃষ্টি জমা জলের দুর্ভোগ কিছুতেই কমবে না।