Home পুজোর গল্প ভূত চতুর্দশী কেন হয়?

ভূত চতুর্দশী কেন হয়?

by banganews

কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় কালীপুজো। যা কোজাগরী পূর্ণিমার কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চদশী তিথি। এর ঠিক আগের রাত হল ভূত চতুর্দশী। অর্থাৎ চতুর্দশী তিথি।

এই দিনটি নিয়ে নানা ধারণা ও নানা বিশ্বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী মনে করা হয়, এই দিন স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছু ক্ষণের জন্য উন্মোচিত হয়। একই সঙ্গে বিদেহী আত্মা এবং স্বর্গত ব্যক্তিরা নেমে আসেন পৃথিবীতে। প্রদীপের চিহ্ন দেখে নিজেদের উত্তর পুরুষের ভিটেয় পৌঁছে যান এবং তাঁদের আশীর্বাদ করেন।

তাই ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে। আবার ভূত চতুর্দশীকে নরক চতুর্দশীও বলা হয়। গোটা ভারতেই এই দিনটি নানা উপাচারে পালন করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা।

আরো পড়ুন

কেন করা হয় রটন্তী কালী পূজা?

আবার বিদেশেও প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণে পালিত হয় ‘হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’। যা অনেকটা আমাদের ভূত চতুর্দশীর মতোই। হ্যালোউইন শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা।

এই দিনটিতে বাঙালিরা চৌদ্দ শাক খেয়ে চৌদ্দপুরুষকে স্মরণ করেন। একইদিনে আবার ভূত-প্রেত ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মর্ত্যে আসেন চক্রবর্তী রাজা বলি বা অসুররাজ বলি।

এই দিন যে প্রদীপ জ্বালানো হয় তার একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। মাটি দিয়ে তৈরি হল প্রদীপের কায়া, জলে তা আকার নিল, আগুনে তা হয়ে উঠল প্রাণবন্ত, হাওয়া তাকে দিল আলোকময়তা এবং মহাশূন্য জেগে রইল তার খোলে। বিশ্বাস, এই চোদ্দটি প্রদীপের আলো অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে।

এর ঠিক পরের দিন, চন্দ্রের তিথিনিয়ম মেনে, হয় কালীপূজা। তাঁর আগের দিন বাঙালিরা যে চোদ্দ শাক খেয়ে রীতি পালন করেন সেটাও এক ঐতিহ্য। শাকগুলি হলো ওল, কেঁউ, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা এবং শুষনী। আযুর্বেদ বলছে, এই ১৪টি শাকে নানা রোগ নাশক শক্তি থাকে।

You may also like

Leave a Reply!