মাঘমাসে আমাবস্যা শুরুর আগের দিন অর্থাৎ চতুর্দশী-র রাত্রে রটন্তী কালীর পূজার প্রচলন রয়েছে। অনেকে চতুর্দশীর সমাপ্তি ও অমাবস্যার শুরুতেও রটন্তী কালী পূজা করে থাকেন।
শাস্ত্রে উল্লেখিত কাহিনী অনুসারে রাধা যখন শ্রীকৃষ্ণের প্রেমলীলায় মত্ত তখন একদিন জটিলা ও কুটিলা ফন্দি করে রাধাকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে আয়ান ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে রাধাকে অনুসরণ করেন। বলে রাখা ভালো আয়ান ঘোষের আরাধ্য দেবী হলেন কালী।
জটিলা, কুটিলার গোপন অভিসন্ধি শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পেরে তিনি স্বয়ং কালীর রূপ নেন। আয়ান ঘোষ দেখেন রাধা, কদম গাছের তলায় কালীকে পূজা করছেন। এই দৃশ্য দেখে জটিলা, কুটিলা ও আয়ানের ভুল ভাঙে এবং উপলব্ধি করেন যে, রাধা স্বয়ং আদ্যাশক্তি মহামায়া। আর এই ঘটনাটির স্মরণেই আজকের এই রটন্তী কালী পূজা।
আরো পড়ুন
জেনে নিন মা কালী সম্পর্কে তিন তথ্য
গল্পের বিষয়বস্তুতেই পূজার মাহাত্ম্য ও পূজার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যাদের জীবনে দাম্পত্যকলহ চলছে বা যারা কোন অবাঞ্ছিত কারণে দাম্পত্য সুখ থেকে বঞ্চিত বা যারা সদ্য প্রেম হারিয়েছেন অথবা প্রেম নিবেদন করেও তেমন কোন সুফল পান নি তারা।
এই সময় রটন্তী কালীর আরাধনার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে সফলতা লাভ করতে পারেন। এছাড়াও রটন্তী কালী মানুষের কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না। ভক্তিভরে তাকে স্মরণ করলেও মনে জোর আসে। তন্ত্রের সঠিক প্রয়োগে অসাধ্য সাধন করা যায়।