Home বঙ্গ একুশ দশকে দাঁড়িয়েও ভুতের ভয় কাঁপছে বর্ধমান।

একুশ দশকে দাঁড়িয়েও ভুতের ভয় কাঁপছে বর্ধমান।

by banganews

সময় পাল্টেছে, মানুষ উন্নত হয়েছে। অনেক বেশি যুক্তি দিয়ে বিচার করতে শিখেছে মানুষ। বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছে মানুষ। কিন্তু এই যুগে দাঁড়িয়ে যে ভূত আছে তা মেনে নেওয়াটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু এরকমই একটা ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে বর্ধমানের মানুষকে। ঘটনাস্থল পুর্ব বর্ধমানের ভোট গননা কেন্দ্র এমবিসি ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিয়ারিং। সেখানেই নাকি ভূতের উপদ্রব, হ্যাঁ এমনটাই দাবি ওই কলেজের কর্মীদের। ভুলভুলাইয়া সিনেমায় ভূতের দৃশ্য ছিল কিন্তু সে তো সিনেমা, তাই বলে বাস্তবে ভূত । রাত বারোটার পরে নাকি ভেসে আসে অশরীরী হারমোনিয়াম ও তবলার আওয়াজ। কখনও বা ঘুঙুরের শব্দ। কলেজের গেটে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশ। স্ট্রং রুমের বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, যাকে বলে নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি, তাঁর মধ্যেই ভূতের আতঙ্ক ভোট গননা কেন্দ্রে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি রাত হলেই ভেসে আসছে হারমোনিয়ামের আওয়াজ বা তবলার আওয়াজ। খালি গলায় গান ধরলেই ভেসে আসে তবলার বোল, কখনও বা হারমোনিয়ামের আওয়াজ। অশরীরী আতঙ্কে রীতিমত থরহরিকম্প কলেজ ক্যাম্পাস। স্থানীয়দের কথায় আগে ওই জায়গায় রাজবাড়ি ছিল, ছিল নাছঘর, ওখান থেকে নাকি মেয়েদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এমনই দাবি ওখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের। তারাও ভয়ে ভয়ে ডিউটি করে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এখনও রাজ পরিবারের লোকজন অশরীরী হয়ে ঘুরে বেড়ায়। একুশ দশকে দাঁড়িয়ে মধ্যযুগীয় বিশ্বাস করাটা হয়তো একটু কঠিন। তবে বিজ্ঞানমঞ্চের কার্যকরী সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়ের দাবি ভুত বলে কিছু নেই, পুরোটাই কুসংস্কার। তাঁর কথায় এই যুগে ভূতের উপস্থিতি বিশ্বাস করা বোকামো, কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কাজ এটা, নির্বাচনের কাজে যাতে বাঁধা আসে সেই কারনে এই গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে। চন্দ্রনাথ বাবুর কথায় প্রশাসন এই ব্যাপারে সাহায্য চাইলে বিজ্ঞানমঞ্চ থেকে সাহায্য করা হবে।

You may also like

Leave a Reply!