বদলা নয়, বদল চাই বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ত্রিপুরাবাসীর স্বাধীনতা হরণ করে, গণতন্ত্রের অবমাননা করে বিজেপি ত্রিপুরার মাটিতে জঙ্গলরাজ কায়েম করেছে। বিরোধীদের নানা ছলচাতুরি করে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না, সংবাদমাধ্যমের ওপর পাশবিক হামলা চালানো হচ্ছে। থানার ভেতর বিজেপির দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিপ্লব কুমার দেবের প্রচ্ছন্ন মদতে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলছে ত্রিপুরার মাটিতে। অপদার্থ এই সরকারের জন্য আজ সারা দেশের কাছে ত্রিপুরার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ সমস্ত ক্ষেত্রে পরিকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত বিরোধীদের ও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। গতকাল ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সুবল ভৌমিকের বাড়িতে বর্বরোচিত আক্রমণ চালায় বিজেপির দুর্বৃত্তরা, তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিপ্লব কুমার দেবের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার যত উৎপীড়ন করবে, আমাদের প্রতিবাদের ভাষা ততই তীব্রতর হবে।
এই লড়াই তাই অনাচার বনাম উন্নয়নের, সন্ত্রাস বনাম শান্তির, একনায়কতন্ত্র বনাম গণতন্ত্রের। তৃণমূল কংগ্রেসের দৃপ্ত লড়াইয়ে ত্রিপুরার স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারের থরহরি কম্পমান অবস্থা। ত্রিপুরাবাসীর হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। আন্দোলনের সরণি বেয়ে ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপির অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্তির সূর্যোদয় ঘটাবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিবর্তনের সূচনা হবে আসন্ন পুর নির্বাচন থেকেই। তাই আসন্ন নির্বাচনে জোড়াফুল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে আগামীদিনে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করতে সবাইকে আবেদন জানাই।
সায়নী ঘোষ গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তাল ত্রিপুরা
আজ আগরতলায় আমার রোড শো-এর কথা থাকলেও, ত্রিপুরা পুলিশ তা বাতিল করে। তাই প্রথমে বিমানবন্দরে ও পরে হোটেল পোলো টাওয়ার্সে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ – সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে আমার বার্তা তুলে ধরলাম। সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য উদঘাটনের কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের আমি কুর্নিশ জানাই। সাংবাদিক বৈঠকের পর সুবল ভৌমিকের বাড়ি পরিদর্শন ও আমাদের সৈনিকদের সাথে বার্তা বিনিময় করলাম। শত আঘাত সহ্য করেও ত্রিপুরাবাসীর অধিকার পুনরুদ্ধারে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার হৃদয়ের বন্ধন, তাই আগামীদিনে বাংলার মতোই ত্রিপুরার মাটিও ভরে উঠবে জোড়াফুলের সমারোহে, আলোকিত হবে উন্নয়নের আলোয়।