করোনা সংক্রমণ রুখতে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। ভারতবর্ষ ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পার করে ফেলেছে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও শিশুদের জন্য এখনও কোনো ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা ছিল না। এবার খানিক স্বস্তি পাওয়া গেল সিরাম ইনস্টিটিউটের ঘোষণার পর। সিরাম (Serum Institute of India) ইনস্টিটিউটের সিইও (SII, CEO) আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) জানাচ্ছেন এবার বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে।
বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে Covovax বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক কারণ রয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশাবাদী সিরাম।
সূত্রের খবর, COVID-19 ভ্যাকসিন Covovax-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাসেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানা গিয়েছিল।
আরো পড়ুন
এও জানা গিয়েছে যে, সেরাম (Serum Institute of India) ইনস্টিটিউট এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে Covishield ভ্যাকসিন তৈরি এবং বিতরণ করতে। সিরাম ইন্সটিটিউট AstraZeneca এর সঙ্গে একসাথে কাজ করেছে।
গত কয়েকদিন আগেই দেশের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ডিসিজিআই থেকে Covovax ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করতে চলেছে সংস্থার পক্ষ থেকে। নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন এখনও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়নি। এটি শুধু ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ অথরিটি সংস্থার ছাড়পত্র মিলেছে।
শুধুমাত্র গুজরাটের কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ভারতে ১২ বছর এবং তার বেশি বয়সের শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে স্কুলগুলি আবার খোলার সাথে সাথে তৃতীয় ঢেউয়ের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে শিশুদের এই ভ্যাক্সিনেশন এর প্রয়োজন পড়েছে। যার ফলে শিশুদের ভ্যাকসিনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷