Home বিদেশ ১১ বছরে প্রথমবার অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন ইউনাইটেড কিংডম

১১ বছরে প্রথমবার অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন ইউনাইটেড কিংডম

by banganews

লন্ডন, ১২ অগাস্ট, ২০২০ : করোনা আবহে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই দশকের বৃহত্তম আর্থিক মন্দা দেখল ইউনাইটেড কিংডম। লকডাউনের জেরে বেহাল অর্থব্যবস্থা ২০২০ -র প্রথম দুটি কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগেই জিডিপির সূচককে নামিয়ে আনল শূন্যের নিচে। বছরের প্রথম তিন মাসের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবনমনকে টেক্কা দিয়ে আরও ২০.৪ শতাংশ সংকোচনের ফলে সেকেন্ড কোয়ার্টারে জিডিপি নামল নেগেটিভ মার্জিনে।

আরও পড়ুন :  মহাকাশ থেকে তোলা গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের ছবি

দোকান বাজার বন্ধের ফলে গৃহস্থালির মোট ব্যয় কমেছে, কারখানা থেকে কনস্ট্রাকশন আউটপোস্ট, সব ব্যবসাই মার খেয়েছে এই মহামারী পরিস্থিতিতে। ২০০৯ সালের পর থেকে ইয়ুকে’র জন্য এটি প্রথম ‘টেকনিক্যাল রিসেশন’। দ্য অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) জানিয়েছে জুন মাস থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা খানিক শিথিল করা হলে অর্থনীতি কিয়দংশে চাঙ্গা হয়েছে।
জোনাথন অ্যাথো, ডেপুটি অফ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিশিয়ান ফর ইকনোমিক স্ট্যাস্টিস্টিকস বলেন, “ভাইরাস সংক্রমণের পূর্বে ফেব্রুয়ারি মাস সূচকের ভয়াবহ অবস্থার তুলনায় এই গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) ছয় ভাগের এক ভাগ রিকভারি করেছে।”

আরও পড়ুন :  চারটি ফোন থেকে চালানো যাবে একটিই হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্ট

ওএনএস আরও জানিয়েছে ফাইনান্সিয়াল আউটপোস্টের কাজ স্থগিত হয়ে পড়লে ছোটখাটো দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, স্কুল এমনকি গাড়ি সারাইয়ের কোম্পানিগুলিও বন্ধ হতে শুরু করে। দেশের অর্থনীতির চার-পঞ্চমাংশ আয় আসে সার্ভিস সেক্টর থেকে। লকডাউনের ফলে এতে রেকর্ড পতন দেখা দিয়েছে। ফ্যাক্টরিগুলি কর্মীর অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি শিল্পের উৎপাদন ১৯৫৪ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন ধাপে এসে পৌঁছেছে। মাসের হিসেবে জুন থেকে অর্থনীতি পুনরায় পূর্বের সচলতা ফিরে পেয়েছে, জিডিপি বেড়েছে ৮.৭ %। ১৫ ই জুন থেকে জামা কাপড়ের দোকান, বইয়ের দোকান ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের দোকান খোলার অনুমতি মিলেছে।

আরও পড়ুন :  গুগল আর্থের রহস্যময় ছবি, ৪০০ ফুট গভীর বরফের নিচে আস্ত জাহাজ

ইউনাইটেড কিংডমের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক জানিয়েছেন এই অর্থনৈতিক মন্দার ফলে আগামী মাসে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন,”বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা এই খারাপ সময় অবশ্যই পেরিয়ে যাব এবং সকলকে আশ্বস্ত করে বলা যায় কেউ আশাহত হবেন না, প্রত্যেকের জন্য অনুকূল সময় আসতে চলেছে।”

You may also like

Leave a Reply!