এবার আর ছোটখাটো চিকিত্সার জন্য যেতে হবে না হাসপাতালে। কারণ, এক ফোনেই মিলতে পারে চিকিত্সা। সাংবাদিক বৈঠকে একথাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিত্সায় টেলি মেডিসিন পদ্ধতি চালু করার কথা জানালেন তিনি।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে ১ জুলাই ছুটি ঘোষণা করা হল। ওইদিনই ডক্টরস ডে তে করোনা আক্রান্ত (Covid-19) ও অন্যান্য রোগীদের জন্য টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হবে। বেলা ১২টা থেকে ফোনে পরিষেবা দেওয়া শুরু হবে।
প্রথম দফায় ১২টি নম্বর চালু করা হবে। যেকোনও জেলা থেকে ওই নম্বরে ফোন করা যাবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রতি জেলার জন্য একটি করে নম্বর চালু করা হবে। সোমবারের মধ্যে নম্বর পৌঁছে যাবে রাজ্যের প্রত্যেক জেলায়।’
আরও পড়ুন : শুরু হয়ে যাচ্ছে তৎকাল টিকিট বুকিং
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে লকডাউন করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে আনলক ওয়ান চলছে। মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন । এই সময়ে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিন নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে সংক্রমিতের সংখ্যা। বহু মানুষই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। তার ফলে হাসপাতালে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, অনেকেই ভাবছেন হাসপাতালে গেলেই হয়তো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। আবার কোনও কোনও সরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিত্সা হওয়ায় বহির্বিভাগও বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই যাঁদের বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই, তাঁরা চিকিত্সা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বর্তমানে অনেক বেসরকারি হাসপাতালেই অনলাইনে রোগীর চিকিত্সা চলছে। সেই পথেই এবার হাঁটল রাজ্য সরকার। টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলে খুব সহজেই শুধুমাত্র বাড়িতে বসে একটি ফোন করেই মিলবে পরিষেবা। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে প্রথম কয়েকদিন একসঙ্গে অনেক রোগীর ফোন পেলে সমস্যা হতে পারে, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালুর ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷