Home কলকাতা আলোর খেলা কমান, পুজো কমিটিকে অনুরোধ ফোরামের

আলোর খেলা কমান, পুজো কমিটিকে অনুরোধ ফোরামের

by banganews

কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: দুর্গাপুজো হোক। তবে মণ্ডপে রকমারি আলোর খেলায় নিয়ন্ত্রণ আসুক। সাধারণ আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক সন্ধের মণ্ডপ। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফ থেকে এই অনুরোধই করা হয়েছে শহরের সমস্ত পুজো কমিটিকে।
তাতে সুবিধে কী?
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের ইসি কমিটির সদস্য অভিষেক ভট্টাচার্য জানালেন, এর ফলে সন্ধেবেলায় আলোর টানে মণ্ডপে ভিড় জমানোর প্রবণতায় রাশ টানার চেষ্টা করা সম্ভব। “দিনের আলো এবং রাতের অন্ধকার, এই দুটো সময়েই প্রতিমা তো একইরকম। কোনও তফাৎ নেই। সন্ধে থেকে রাত অবধি আলোর খেলা দেখতে লোকের ঢল নামে। এবার সেটাই যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে ভিড়ের চাপ কমবে। দিনমানেই ঠাকুর দেখতে পারবেন মানুষ। এমন করেই ভিড়টা ভাগ হয়ে যাবে,” বলছেন অভিষেকবাবু।

আরও পড়ুন এবছর দুর্গোৎসব নিয়ে অতি সতর্ক বেলুড়মঠ

ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সঙ্গে কলকাতার পুজো কমিটিদের নিয়মিত মিটিং চলছে। এবছর দুর্গাপুজোর জন্য বিশেষ কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে কি?
“না, গাইডলাইন নয়। আমরা অনুরোধ করেছি। পরামর্শ দিচ্ছি। নির্দেশ তো দিতে পারি না। তবে পুজো কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও তো এই বাংলারই মানুষ। পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাঁরাও। কাজেই অন্যরকম আর ভাববেন কেন? তাঁদেরও আপনজনেরা পুজোর শহরে ঘুরবেন তো। তাছাড়া সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে অনেক বেশি,” সাফ কথা অভিষেকবাবুর।
শহরের পুজো কমিটিদের দেওয়া পরামর্শগুলো কী?
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, তাঁদের সর্বপ্রথম পরামর্শ ছিল, প্রতিমা যেন আট ফুটের মধ্যে হয়। তাহলে তা বয়ে আনতে, স্যানিটাইজ করতে, রাখতে এবং ভাসান দিতে সুবিধে। লোক কম লাগবে।
তাছাড়া যেখানে বেশি ভিড় হয়, সেই সব পুজোর প্রবেশ এবং প্রস্থানের দরজা বড় করা, দড়ি ফেলে মানুষ আটকানো বন্ধ করা, থার্মাল গান দিয়ে চেকিং এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করার মতো একগুচ্ছ আবেদনও রেখেছেন তাঁরা।
আর পুজো মণ্ডপগুলোকে ঘিরে খাবারের স্টল? সেখানে ভিড় জমবে না?
অভিষেকবাবু বলছেন, তাঁদের পরামর্শ হল, প্রথমত, স্টলের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতে হবে। আগে যে জায়গায় দশটা স্টল হত, এখন সেখানে পাঁচটা করলে ভালো। দ্বিতীয়ত, এমন খাবার রাখতে হবে, যা সেখানে দাঁড়িয়ে না খেতে হয়। প্যাকেটে ভরে মানুষ সেগুলো নিয়ে যেন চলে যেতে পারেন। তাহলে শহরের পুজো এবার ফুচকা স্টল পাচ্ছে না, ইঙ্গিত তেমনটাই।
এর বাইরে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান বা সন্ধিপুজোর ক্ষেত্রে ভিড় সামলানোর উপায় পুজো কমিটিকেই বার করতে হবে বলে মতপ্রকাশ করলেন অভিষেকবাবু। তাঁর নিজের পুজোর ক্ষেত্রে সন্ধিপুজো ফেসবুক লাইভ করবেন বলে জানালেন। যাতে ওই সময়টুকু মানুষ ভিড় না জমিয়ে ফেলেন।
“কয়েকটি পুজো কমিটি বলেছে, তারা সাধারণের অঞ্জলির ক্ষেত্রে ফুল রাখছে না। হাতজোড় করে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে অঞ্জলি হবে,” জানাচ্ছেন অভিষেক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন ব্রেকিং! ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে লকডাউন নয়।

বরাবরের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এবছরও ২০ সেপ্টেম্বর প্রাক পুজো রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে ফোরাম। নেতাজি ইন্ডোরেই।
“গত বছর দুহাজার মানুষ রক্ত দিয়েছেন। এবছর ভেবেছিলাম, করা সম্ভব হবে না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেরণায় ফোরাম আবারও কোমর বেঁধে নামল। আশা তো করছি হাজার দেড়েক মানুষ আসবেন রক্ত দিতে। তবে সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থাই রাখা হবে,” জানাচ্ছেন অভিষেকবাবু।

You may also like

Leave a Reply!