অর্জুন চক্রবর্তী। টালিগঞ্জের তরুণ তুর্কি। জনপ্রিয়তার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর সঙ্গে পুজোর আড্ডা দিলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্ন: এই যে কলকাতা হাইকোর্ট এ বছরটায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল ফাঁকা রাখার রায় শোনাল। মন খারাপ?
অর্জুন: যদি ব্যক্তি অর্জুন চক্রবর্তীর কথা জিজ্ঞেস করেন, তাহলে বলব, এতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমি একেবারেই ভিড়ভাট্টায় যাই না। তবে হ্যাঁ, সামগ্রিকের বিচারে বলতে গেলে, এই রায় খুব কাঙ্খিত। এমনটা না হলে পুজোর পরে করোনার বাড়বাড়ন্তে আবার হয়তো লকডাউন ঘোষণা করতে হত। এমনিতেই লকডাউনে মানুষজনের কাজ ছিল না। তারপর আবারও লকডাউন ঘটলে অবস্থাটা কী দাঁড়াবে বলুন তো!
প্রশ্ন: ভিড় প্যান্ডেলে যান না তো, পুজো কীভাবে কাটান?
অর্জুন: আমাদের পুজো কাটে বাড়িতে আর গাড়িতে। বাড়িতে পরিবার পরিজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা খাওয়া হইচই। তাছাড়া গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। রাস্তা থেকেই যেসব ঠাকুর দেখা যায়, দেখে ফেলি। দেখতে দেখতে চলে যাই লং ড্রাইভে। ফাঁকায় ফাঁকায়। যেখানে নিরিবিলিতে হাঁফ ছাড়া যায়।
প্রশ্ন: এবছরটা তবে বাড়িতেই?
অর্জুন: না না। গাড়িতেও। প্যান্ডেলে না গেলেই হল। কাচ তুলে ঘুরে বেড়াতে অসুবিধে কী আছে! যাব তো ফাঁকা কোনও জায়গায়।
প্রশ্ন: এবছর পুজোর স্লোগান বোধহয় ‘পুজোয় চাই নতুন সাবধানতা’!
অর্জুন: যা বলেছেন। আমি নিজে ভীষণই সাবধানে থাকছি। আমার আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে। ষাটোর্ধ্ব বাবা আছেন। শ্বশুরমশাইয়েরও বয়স হয়েছে। আমিই যদি ক্যারিয়ার হয়ে যাই, আমার পরিবার তাহলে শেষ হয়ে যাবে পুরো।
প্রশ্ন: মেয়ে কি আর অতশত বোঝে? বায়না করে না?
অর্জুন: আমাদের আবাসনে পুজো হয়। এবছরটা ছোট করে হচ্ছে। সকালের দিকে একেবারে ফাঁকা থাকলে মেয়েকে নিয়ে নামব। ঠাকুর দেখবে। তাছাড়া গাড়িতে বেরোলে ওর খুব মজা।
প্রশ্ন: এবছর পুজোর ছবিতেও তো আপনি আছেন?
অর্জুন: হ্যাঁ। অঞ্জনদা‘র (দত্ত) নতুন ছবি সাহেবের কাটলেট। কাজ করেছি। পুজোয় মুক্তি।
প্রশ্ন: পুজোর পর তো আপনার জন্য দারুণ খবর। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অভিযাত্রিক’ মনোনীত হয়েছে।
অর্জুন: এটা এখনও অবধি আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। পুজোর সবচেয়ে বড় উপহার এটাই। এই ছবিটা আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। সেই বিভূতিভূষণ, অপু, সত্যজিৎ রায় নস্টালজিয়া। এমন ছবির সুযোগ বারবার আসে না। কলকাতা উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে এ ছবিটা আছে। যদিও খুব ছোট করে এবছর উৎসব হবে, তবু অফিশিয়াল মুক্তি পাওয়ার এর চেয়ে ভালো মঞ্চ আর হয় না।