Home বঙ্গ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের যুগ্ম মন্ত্রক প্রকাশ করল পূর্ণাঙ্গ কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান

রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের যুগ্ম মন্ত্রক প্রকাশ করল পূর্ণাঙ্গ কোভিড-১৯ পরিসংখ্যান

by banganews

পশ্চিমবঙ্গ,৩০শে জুলাইঃ   পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের যুগ্ম মন্ত্রক এদিন এই রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ করোনা আবহের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে উল্লেখিত আছে প্রতিটি জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যুর হার, সুস্থ হয়ে ফেরা রোগীর স্ট্যাটিস্টিকাল রিপোর্ট। প্রত্যেকটি জেলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা করে নির্দেশিত হয়েছে মোট টেস্টের সংখ্যা। এরপরেই একটি তালিকা করে দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামোর হিসেব-নিকেশ যাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে মোট বেড সংখ্যা, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ও ভেন্টিলেশন সংখ্যা। মোট কতগুলি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করা হচ্ছে সেই সংখ্যা এবং এরই পাশাপাশি আগামীতে নতুন করে যেসব চিকিৎসা কেন্দ্রে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে সেই প্রার্থিত হাসপাতালের সংখ্যা। টেস্ট পার মিলিয়ন বা টিপিএমে’র হিসেবে দেওয়া হয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষার পরিসংখ্যান। ঠিক এরপরই দপ্তর থেকে বিবৃত হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলির খুঁটিনাটি। এর বিস্তারিত তথ্য তিনটি ধাপে পেশ করেছে সরকার প্রথম ধাপে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, দ্বিতীয় ধাপে হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৃতীয়ত সেফ হোমের সংখ্যা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে গভর্নমেন্ট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা রাজ্যে ৫৮২ টি, সেফ হোম ১০৬ টি এবং হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রায় ৪,৬৩,০৬৯ টি।

আরও পড়ুন ধূমপায়ীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৪ টি জেলার পৃথক পৃথক পরিসংখ্যান পরপৃষ্ঠায় বিস্তারিত খুঁটিনাটি সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। মোট এরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭,৬৯২ মৃত্যু হয়েছে ১,৫৩৬ জনের এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৪৬,২৫৬ জন। এখনো পর্যন্ত এই রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেস সংখ্যা ১৯,৯০০ ।
এছাড়াও বিভিন্ন রেখাচিত্র, পাই চার্ট ও ডায়াগ্রামের মাধ্যমে এই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। আরও রয়েছে টেস্ট ল্যাবের বিস্তারিত বিবরণ এবং সেখানে সাপ্লাই হওয়া পিপি কিট,থার্মাল গান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাস্কের পরিসংখ্যান। এইরকম পূর্ণ পরিসংখ্যান দাখিল করে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা খাতে ব্যয় ও স্বাস্থ্য পরিষেবার একটি স্বচ্ছ ধারণা তুলে ধরতে চায় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

You may also like

Leave a Reply!