উৎসবের মরশুম শেষ হতে না হতেই সুন্দরবন লাগোয়া খাল বিলের ধারে গরান, গর্জন, গেওয়া গাছে বাসা বাঁধত পাখিগুলো। সেখানকার মানুষও বুঝত শীত এসছে। কিন্তু এখন সেসব অতীত হতে চলেছে। সরকারি জমি জবরদখল করে একের পর এক ম্যানগ্রোভ কেটে চিংড়ির চাষ হচ্ছে। যেখানে চাষ হচ্ছে সেই অধিকাংশ জমি সেচ দফতরের। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করেছিলেন বাসন্তীর বাসিন্দা কালাম পৈলান। এর ফল হয়েছে ভেড়ি সিন্ডিকেটের হুমকি। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
কৃষকদের সমর্থনে কাল প্রতিটি ব্লকে আন্দোলন
হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করেছে কিন্তু এরপরেও কাঁটা পড়েছে ম্যানগ্রোভ। শাসকদল প্রতিবাদ জানিয়েছে কিন্তু লাভ হয়নি। প্রশাসনের তরফে কয়েকদিন ধরপাকড় চললে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। স্থানীয় বিধায়কের কথায় যারা ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করেছে তারা তৃণমূল কর্মী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবনের সৌন্দার্যায়নে ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছেন। এই ম্যানগ্রোভ যারা ধ্বংস করছেন তারা সমাজের শত্রু। এখন দেখার জেলা প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।