Home Onno Pujo 2020 এক ‘অনাম্নী’র কণ্ঠে পুজোর রেকর্ডে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত

এক ‘অনাম্নী’র কণ্ঠে পুজোর রেকর্ডে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত

by banganews

বঙ্গ নিউস, ২০ অক্টোবর, ২০২০ঃ  দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নাম যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে, দেশবন্ধুর বোন অমলা দাশের নাম জড়িয়ে আছে দুর্গাপুজোর গানের সঙ্গে।
স্মরণাতীত ইতিহাস বলছে, দুর্গাপুজোর গানের রেকর্ড বেরোয় ১৯১৪ সালে। সে রেকর্ডে গানের সংখ্যা ছিল ১৭টি। সে বছর দুর্গাপুজোর কয়েক দিন আগে সেই রেকর্ডের এক বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। শিল্পী এবং তাঁর গানের প্রথম লাইনটি দিয়ে তৈরি হয় বিজ্ঞাপন। সেই তালিকায় একজনের নাম ছিল মিস দাশ (অ্যামেচার)। তাঁর গাওয়া গানের তালিকায় ছিল ‘ হে মোর দেবতা’-(ইমন কল্যাণ) ও ‘প্রতিদিন আমি হে জীবনস্বামী’-(সিন্ধু কাফি)। দুটিই রবীন্দ্রসঙ্গীত।

আরও পড়ুন এবছর সবচেয়ে ভালো পুজো উপহার পেলাম

এই মিস দাশ-ই হলেন অমলা দাশ। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বোন। বিয়েটিয়ে করেননি। নিজে থাকতেন নিজের মতো।
সে সময় কোনও সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে রেকর্ডে গান করতে পারতেন না। নাম লুকিয়ে সেই প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত রেকর্ড করলেন অমলা দাশ। সে বছর সে গান পুজোর গানও বটে।
এই অমলা দাশ আবার সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নী মৃণালিনী দেবীর অভিন্নহৃদয় সই। তাঁদের দুই সইয়ের ভাবভালোবাসার ছবি এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ—‘ওলো সই/ওলো সই/আমার ইচ্ছে করে তোদের মতো/মনের কথা কই’।
অমলা দাশের সুর গায়কী আর নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে নিজে হাতে অনেকগুলো গান তাঁকে শিখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই গানের থেকে পছন্দের দুটি গানই রেকর্ড করেছিলেন তিনি। দুর্গাপুজোয় সেই প্রথম ‘বেসিক’ রবীন্দ্রসঙ্গীত।

You may also like

Leave a Reply!