বঙ্গ নিউস, ২১ নভেম্বর, ২০২০ঃ বিধানসভা ভোটের আগে পুরুলিয়া, ঝাড়খন্ডে মাওবাদীদের প্রভাব লক্ষ করা গেছে, এই পরিস্থিতিতে ৫০ ও ১৬৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কেন্দ্রীয় কোম্পানিকে সরিয়ে নেওয়া হল। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী তথা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতোর কথায় এই বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার পিছনে রাজনীতি রয়েছে। ভোটের আগে জঙ্গলমহলকে অশান্ত করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন ভুটানের মধ্যেই আস্ত গ্রাম বানিয়েছে চিন
কিষাণজির মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে শহিদ দিবস পালন করা হয়, কিষাণজির মৃত্যুবার্ষিকীর তিনদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়াকে রাজনৈতিক চাল বলে মনে করছে স্থানীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় খানিকটা চাপে রয়েছে পুলিশ। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের যে শিবিরে সরে যাওয়া ব্যাটেলিয়ান ছিল সেখানের গুরত্ব বুঝে দায়িত্ব নেবে ৬৬ ও ১৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। তবে আপাতত যে শিবিরে ব্যাটেলিয়ান নেই সেখানে দায়িত্ব নেবে রাজ্য পুলিশ। ফলে বিধানসভা ভোটের মুখে ঝাড়খন্ড লাগোয়া জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। রাজ্য সফরের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে সিআরপিএফ নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। এরপরেই গতকাল পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ২১ কোচের বিশেষ ট্রেনে ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ও ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ১৮টি কোচের বিশেষ ট্রেনে ১৬৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ছত্তিশগড়ের উদ্দেশে রওনা দেয়।