পূর্ব মেদিনীপুর, ২ ডিসেম্বর, ২০২০ঃ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের তালুকবৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুহরি জানা৷ বহু জায়গায় আবেদন করে পেনশন এর সুরাহা করতে পারেননি৷ মাস দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিলেন পেশায় শিক্ষক এই ব্যক্তি৷ হুগলি জেলার বলপাই প্রফুল্লচন্দ্র সেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা ১৩ বছর প্রধান শিক্ষকের পদে ছিলেন।
পেনশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন ওই শিক্ষক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তিনি চিঠি তে জানিয়েছিলেন,আর্থিক অনটন এতটাই যে বর্তমানে “বেঁচে থাকার প্রয়োজন ও যুক্তি দুই- ই হারিয়ে ফেলেছি। আপনার নিকট অশ্রুসজল নয়নে ইচ্ছামৃত্যুর প্রার্থনা জানাই।”
আরও পড়ুন একই মঞ্চে মমতা ও শুভেন্দু, সামনে এলো পোস্টার
সেইসঙ্গে শিক্ষক জানান, সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেছেন, নবান্ন থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে বিষয়টি দেখভাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কোনো খবর পাননি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা আট৷ সংসার চালানোর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করছেন। বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত, ভালো করে হাটতে পারেন না।
দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পর শীর্ষ আদালত ডিপিপিজি কে নির্দেশ দেন যে সমস্ত কাগজপত্র দেখে পেনশন এর প্রাপ্য টাকা মেটাতে৷ অভিযোগ, ডিআই এর একটি অস্তিত্বহীন চিঠির ওপর ভিত্তি করে ডিপিপিজি সিদ্ধান্ত নেয় যে পেনশন দেওয়া যাবে না। এই নির্মম একতরফা সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা করা হয়েছে। করোনার জন্য সেই মামলা বিচারাধীন৷ তাই অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে স্কুলের গরীব মাস্টারের৷