বঙ্গ নিউস, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ঃ ফের বিস্ফোরক চিঠি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের। কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে জেলে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সেখান থেকে ফের একটি লিখেছেন সুদীপ্ত সেন। নিয়মমতো সেই ২১ পাতার চিঠিটি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিএমএম সেই চিঠিটি গ্রহণ করে তার বিষয়বস্তু এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি লিখেছেন সুদীপ্ত সেন। তিনি সারদার বিভিন্ন পর্যায়ের লেনদেনের কথা সবিস্তারে লিখেছেন। তাঁর কোম্পানির কে তাকে ডুবিয়েছেন, কার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ?, কে কত টাকা নিয়েছেন?, কোন ব্যক্তি কত হিসাব বহির্ভূত টাকা নিয়েছেন, তা বিশদে চিঠিতে লিখেছেন তিনি। গোটা ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়েছেন সুদীপ্ত সেন।
আরও পড়ুন প্রবীণ নাগরিকরা ফিক্সড ডিপোজিটে ১০.৯২% সুদ পাবেন এই ব্যাঙ্কে
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “সুদীপ্ত সেন সব সত্যি বলছেন কিনা তা আমি জানিনা। তবে তিনি যা লিখেছেন তাতে কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত দরকার। সিএমএম কোর্ট থেকে আমার আইনজীবী অয়ন এই চিঠির সন্ধান পেয়ে নিয়মমাফিক আবেদন করে এর সার্টিফায়েড কপি তুলেছে।” কুনাল ঘোষ আরও বলেন, “প্রথম দিন থেকে সারদা তদন্তে সহযোগিতা করেছি। বারবার বলেছি এর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। আমি নিজেও চক্রান্তের শিকার। রাজ্য পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার খাতায় এমন অনেক সাক্ষী রয়েছে বা অনেককে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্ত অভিযোগ এনেছেন। ফলে এদের ভূমিকাও তদন্ত সাপেক্ষ। কুনাল ঘোষ বলেন, “আমার কাছে এই মামলা জীবনমরণের লড়াই। মুখের হাসি অটুট রেখে বহু যন্ত্রণা চেপে আমি লড়াই করে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন ফুলের টানে ফুলের গ্রামে পর্যটকদের ভিড়
তৃণমূল নেতার দাবি, সব ষড়যন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কারা দপ্তরকে তিনি অনুরোধ করেছেন চিঠিটি আর যাকে যাকে সম্বোধন করে লেখা, যত শীঘ্র সম্ভব তাঁদের কাছে পাঠানো হোক। তাঁরাও যেন তদন্তের উপর গুরুত্ব দেন। মাননীয় বিচারকদের কাছে তিন্ অনুরোধ করেন তদন্তকারী সংস্থাগুলি যেন অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়। সিবিআই, ইডি তো বটেই; বারাসাত বিশেষ কোর্টে রাজ্য পুলিশের যেসব মামলা 173 ধারা প্রয়োগে খোলা রয়েছে, সেগুলি নিয়েও তদন্ত হোক। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে কুনাল ঘোষের অনুরোধ, বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সামনে আনা হোক। চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি কুনাল ঘোষ। তবে তাঁর দাবি সুদীপ্ত সেন চিঠিতে যা লিখেছেন তা ধ্রুব সত্য নাও হতে পারে। তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার।