কলকাতা, ২৫ অগাস্ট, ২০২০: মীরাক্কেল অনুষ্ঠানের বিচারকের আসন থেকে বাদ পড়ছেন শ্রীলেখা মিত্র। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই শোয়ের প্রথমদিন থেকেই রজতাভ দত্ত এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তিনিও। আচমকাই এই বাদ পড়ার খবর নিজেই দিয়েছেন শ্রীলেখা। যদিও শোয়ের নাম উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন জিয়া খান এবং মহেশ ভাটের হাত ধরে হাসা হাসির ভিডিও হল ভাইরাল
টানা দশবছর একসঙ্গে কাজ করার পর কী এমন ঘটল যে, শ্রীলেখাকে সরে যেতে হচ্ছে? ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, “আমাকে ছাড়াই জনপ্রিয় কমেডি শো শুরু হতে চলেছে। এভাবেই বোধহয় সত্যি কথা বলার দাম চোকাতে হল!…” শ্রীলেখার কথায়, ‘মীরাক্কেল’ তাঁর জন্য ভীষণ ইমোশনাল একটা জার্নি। “দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই শোয়ের অংশ ছিলাম আমি। খুব খারাপ লাগল যে, টিমের কেউই আমাকে জানালেন না বিষয়টা। আমি আনঅফিশিয়ালি লোকমুখে শুনলাম। কষ্ট হচ্ছে। এই কমেডি শো নিশ্চয় চলবে, কিন্তু আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি”, মত শ্রীলেখার।
গত ১০ বছর ধরে যাঁকে ‘মীরাক্কেল’-এর বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে, সেই অভিনেত্রী বাদ পড়ার খবর শুনে রীতিমতো উদ্বিগ্ন এবং ক্ষিপ্তও অনুরাগীদের একাংশ!
কোন ‘সত্যি কথা’র দাম চোকাতে হল বলে লিখেছেন শ্রীলেখা? না। সে সম্পর্কে ভেঙে বলেননি তিনি। তবে স্বজনপোষণ নিয়ে বলিউড যখন উত্তাল, সে সময়ে এই বিষয়ে বাংলায় একাই কথা বলেছিলেন শ্রীলেখা। অভিযোগ করেছিলেন, এক প্রভাবশালী নায়ক এবং এক নম্বর প্রোডাকশন হাউজের অঙ্গুলিহেলনেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রি চলে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি সরাসরি তোপ দেগে শ্রীলেখা মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, প্রসেনজিৎ চাননি বলে তিনি কোনও কাজে কনফার্ম হয়েও সে কাজটি হাতে পাননি।
আরও পড়ুন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভে ফের উত্তাল আমেরিকা
যদিও শ্রীলেখার এই অভিযোগের কোনও উত্তর প্রসেনজিৎ দেননি। শ্রীলেখার অভিযোগ স্বীকার করেনি সংশ্লিষ্ট প্রোডাকশন হাউজও। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একসময় তা চাপা পড়ে যায় বলে মনে করা হয়।
তবে চাপা সত্যিই পড়ল কিনা, এখন তো তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। নইলে এক দশকের বিচারককে আচমকা কোনও কারণ ছাড়াই কী করে সরিয়ে দিল মীরাক্কেল-এর মতো এত জনপ্রিয় একটি শো!
এবার শ্রীলেখার জায়গায় কে আসছেন?
এখনও অবশ্য সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। নুসরত, পাওলি আর স্বস্তিকা—এই তিনটি নাম শোনা যাচ্ছে এখনও।