দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বড় ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার পাবধারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কল্পনা ঘোষ। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কাজ করতেন। খুনের অভিযোগে তাঁর বড় ছেলে সৌমেন ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্পনাদেবীর দুই ছেলে। বড় ছেলে নাম সৌমেন ঘোষ ও ছোট ছেলে সম্রাট ঘোষ। সম্প্রতি সৌমেন পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাইছিলেন না। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে ঝামেলা করে করত সে। কিছু দিন আগে ঝামেলা করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও যায় সৌমেন। পাশাপাশি চলতে থাকে টাকা ও সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দেওয়া। কিন্তু তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাঝে মাঝেই বাড়িতে এসে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করত সৌমেন।
অভিযোগ, এরপরেই ছোট ভাই সম্রাটকে পাশের ঘরে আটকে রেখে মায়ের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপরে হামলা চালায় সৌমেন। এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে মাকে। প্রৌঢ়ার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে সম্রাটের ঘরের দরজা খুলে দেন। সম্রাট ও প্রতিবেশীরা কল্পনার ঘরে ঢুকতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সৌমেন। ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কল্পনা।
বাড়ছে বিপদ! দাবানলের গ্রাসে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র
তাঁকে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ছোট ছেলে সম্রাটের দাবি, “দাদা মায়ের কাছে মাঝে মধ্যেই প্রচুর টাকার দাবি করত। মা টাকা না দেওয়ায় দাদা মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করত। তা সমর্থন করত বাবা। আজ হঠাৎ দাদা বাড়িতে এসে আমার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় এবং মায়ের ঘরে ঢুকে মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।