Home Onno Pujo 2020 পুজোর আগে স্যাঁলোর স্যানিটাইজ়েশান

পুজোর আগে স্যাঁলোর স্যানিটাইজ়েশান

by banganews

কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ :  একে করোনা কাঁটা, তার ওপর আবার মলমাস পড়ে যাওয়ায় দেরিতে পুজো। তাই এবছর তোড়জোড় বেশ স্তিমিত। তবে আশ্বিনের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, শিরশিরে বাতাস মনকে ফুরফুরে করে দেয়। আনলকের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও এখন মানুষ ‘নিউনর্মাল’ জীবনে অনেকটাই অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে।
সারাবছর আমরা বাড়ি বসে যতই ঘরোয়া রূপচর্চা করি না কেন, পুজোর আগে প্রফেশনাল স্যাঁলোতে গিয়ে অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানদের হাতের ছোঁয়া না পেলে যেন পুজোটাই মাটি!

আরও পড়ুন বিরাট আন্তর্জাতিক সাফল্য আয়ুষ্মান খুরানার

কিন্তু করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যখন বাড়িই সবচেয়ে নিরাপদ তখন পরিষেবা নেওয়ার জন্য কোন বিউটি পার্লার বা স্যাঁলো সবচেয়ে নিরাপদ বুঝবেন কি করে?

 

সেক্ষেত্রে এমন বিউটি পার্লার বাছতে হবে, যেখানে মানা হবে সবরকম সেফটি গাইডলাইন। তবে, পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল, ম্যানিকিওর, পেডিকিওর হেয়ার-কালার, হেয়ার-স্পা যাই করান না কেন, আপনাকে কিন্তু বিউটিশিয়ানদের সংস্পর্শে আসতেই হবে অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বা শারীরিক দূরত্বও ভঙ্গ হবে। তাছাড়াও আপনার মতো পার্লারে আরও পাঁচজন মানুষ পরিষেবা নিতে যাবেন। তাই মনের মধ্যে আশঙ্কা থেকেই যায় সেখান থেকে সংক্রমিত হওয়ার। তবে, আমরা যদি বেশকিছু সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম করে মেনে চলি তাহলে হয়তো আর আশঙ্কার কোন কারণ থাকে না। যেমন..
1) একসঙ্গে অনেক মানুষের ভিড় এড়াতে প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট দিন, নির্দিষ্ট সময় ধার্য করা যেতে পারে। তাহলে প্রত্যেকদিন দু থেকে তিন জনের বেশি ক্লায়েন্ট সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এবং অ্যাপয়ন্টমেন্ট নেওয়ার সময় কারও কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কিনা তাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

2) স্যাঁলোতে কাজ করার পর প্রতিদিনই কোনো প্রফেশনাল সংস্থাকে দিয়ে মেশিনের সাহায্যে দেওয়াল, মেঝে থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন।

 

3) স্যাঁলোতে ঢোকার আগেই ক্লায়েন্টের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। আলাদা করে তাঁর হাত-পা, তাঁর জিনিসপত্র স্যানিটাইজ করা। ডিসপোজেবল শ্যু-কভার দেওয়া।

 

4) পার্লারের সমস্ত কর্মীদের পিপিই কিট সরবরাহ করা এবং তাঁদের সুস্থতার দিকে নজর রাখা।
5) ফেসিয়াল রুমের জন্য ডিসপোজেবল বেডশিট, ডিসপোজেবল তোয়ালে, টিস্যু প্রভৃতি ব্যবহার করা যা একবার ব্যবহার করার পরই ফেলে দেওয়ার নিয়ম।
6) একজন ক্লায়েন্টের ব্যবহার করা হেয়ার কাটিং ব্রাশ, কাঁচি, চিরুনি অন্য ক্লায়েন্টের জন্য ব্যবহার করার আগে সমস্ত কিছু স্টেরিলাইজ করা বা ডিসইনফেক্টেড লোশন দিয়ে পরিষ্কার করা।
7) প্রত্যেকের জন্য আলাদা ছোট ছোট প্যাকেট বা পাউচে ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু, জেল বা কিট ব্যবহার করা যাতে একই ক্লায়েন্টের জিনিস অন্যকে ব্যবহার করতে না হয়।

 

8) কোন ক্লায়েন্ট যদি কিছুক্ষণের জন্য মুখের মাস্কটি খুলে কোথাও রাখতে চান, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডিসপোজাল পাউচ বা টিস্যুতে মুড়ে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা।
9) এছাড়া কোনো ক্লায়েন্টের মুখে মাস্ক না থাকলেও তার জন্য ডিসপোজেবল মাস্ক, গ্লাভস এবং হেয়ার ক্যাপ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা।
10) সর্বোপরি সচেতন থাকা। কিছুক্ষন পর পরই হাত স্যানিটাইজ করা।

ছবি সৌজন্যে :
নন্দিনী চ্যাটার্জী (কর্ণধার)
প্যারাগন বিউটি হাট
সল্টলেক সেক্টর 3
অনুলিখন : অঙ্কিতা দাশনিয়োগী

You may also like

Leave a Reply!