দুঃসময় যেন আঠার মত লেগে আছে রাজ্যের পিছনে। একের পর এক বিপর্যয় ঘটেই চলেছে। করোনা নিয়ে ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য। তার উপর তছনছ করে দিয়ে গেল এক ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়। বুধবার রাতে এক ভয়াল মুহূর্তের সাক্ষী থাকল গোটা রাজ্য। এক রাতের কয়েকঘন্টার ঝড় আর বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্য। প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে রাজ্যের। সুন্দরবন, নামখানা, কাকদ্বীপ প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। কলকাতায় লাইট পোস্ট গাছ ভেঙে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুত আসেনি, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।

ঝড়ের কবলে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জন মানুষের। বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড় ছিল আমফান। জানিয়েছিল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। আরও একটি ভয়াবহ ঝড়ের কথা শোনাল বাংলাদেশ। আরও এক মহাপ্রলয় আসতে চলেছে যার নাম নিসর্গ। এই নামটি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত।ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে ২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে। আমফানের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হবে নিসর্গ যার নাম প্রস্তাবিত করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ফণী ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ, সেটিও প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল। আমফানের নাম অবশ্য দিয়েছিল থাইল্যান্ড, যার অর্থ আকাশ। কিন্তু সুন্দর এই নামটি মানুষের দূর্বিষহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিসর্গ কবে আছড়ে পরবে যদিও সেই বিষয় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি তবে যদি সত্যি সত্যি এই ঝড়ের আবির্ভাব হয় তাহলে তা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।