Home দেশ চিকিৎসকদের বক্তব্য লকডাউনে গর্ভধারণের সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে

চিকিৎসকদের বক্তব্য লকডাউনে গর্ভধারণের সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে

by banganews

করণা প্রতিরোধে লকডাউন এ মানুষের হাতে ছিল অফুরন্ত সময়। অফিসের কাজের চাপও ছিল কম; বাড়িতে অনেকটা অবসর সময় পেয়েছিলেন তারা। এই অবস্থায় মনোবিদদের ধারণা অনেকেরই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবার বাসনা বেড়েছে।যেহেতু লকডাউন পিরিওডে মানসিক চাপ কিছুটা কম ছিল তার ফলে সুন্দর যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে সুবিধে হয়েছে নারী-পুরুষ উভয় পক্ষেরই। ফলে সংখ্যাতত্ত্ব বলছে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হওয়ার অবসাদে যারা ভুগছিলেন লকডাউন-এ সেই সমস্ত মহিলারা এই সময় সন্তান ধারণ করতে পেরেছেন। এখন মানসিক দিক দিয়েও অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন তারা। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এক হিসেবে জানাচ্ছে যে অনুন্নত ও বিকাশ শীল দেশের অন্তত ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মহিলা অত্যাধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে ঐ সমস্ত দেশগুলোতে আরো ৭০ লক্ষ্য মহিলাকে অনিচ্ছাকৃত মাতৃত্বের শিকার হতে হবে।

আরো পড়ুন – সঙ্গমেও দেখা যেতে পারে করোনা আতঙ্ক।

এক রিপোর্ট বলছে সব থেকে বেশি কনডমের বিক্রি কমে গিয়েছে ইংল্যান্ড ও ইতালিতে। প্রসঙ্গত এই দুটি দেশে ‘কোভিড-১৯’সংক্রমণে প্রাথমিক পর্যায়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এক বিশেষজ্ঞের, মতে চিনে কিন্তু পরিসংখ্যান একেবারে উল্টো।কোভিড-১৯ এর আঁতুড়ঘর চিনে লকডাউন শিথিল হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে কনডোমের বিক্রি। লকডাউন ভারতেও এই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে আগামী বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ যে ভারতের এরপরেও পড়বে তা বলাই বাহুল্য। কলকাতা,মুম্বই শহরের অধিকাংশ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে করোনা থাবা মানুষের যৌন খিদেকে যে দাবিয়ে রাখতে পারেনি তা সংখ্যাতত্ত্ব বলে দিচ্ছে।

আরো পড়ুন – বাবাকে শেষবারের জন্য মাত্র ৩ মিনিট দেখতে দেওয়া হয় – মণিপুরের অঞ্জলিকে

মহারাষ্ট্র তথা মুম্বইতে করনা আক্রান্ত ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি, তা সত্ত্বেও সেখানকার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার লাইনে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েছেন। মুম্বাইয়ের নামকরা হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিজেরাই সে কথা জানাচ্ছেন। তাদের মতে লকডাউন এ গর্ভধারণের সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কলকাতা শহরের চিত্রটাও অন্যরকম নয়।এ শহরে ও গ্রামে অনেক বেশি সংখ্যক গর্ভধারণ করা রোগী ভিড় করেছে হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে।এক চিকিৎসকের কথায় এই সময় মানসিক জটিলতা না থাকায় এবং সময়ের অভাব না থাকায় অনেক সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে অনেকে সন্তান ধারণ করতে পেরেছেন।তার মতে কলকাতা মুম্বাই এর মত শুধু বড় শহরগুলোতে নয় অনাকাঙ্ক্ষিত এই মাতৃত্বের শিকার পশ্চিমবঙ্গে গ্রামবাংলাও।লকডাউন এর সময় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ গর্ভধারণের রোগীকে দেখতে হচ্ছে ডাক্তারদের।

You may also like

Leave a Reply!