দিল্লি, ১১ অগাস্ট, ২০২০: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখনও বেড়েই চলেছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বেলা ১১টা থেকে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, “চিহ্নিত ১০টি রাজ্যের সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেই গোটা দেশ কোভিড যুদ্ধে জিতে যাবে।”
আরও পড়ুন : দেশের করোনা পরিস্থিতি
তিনি আরও বলেন, “ভারতের কেস ফ্যাটালিটি রেট অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম, আমাদের লক্ষ্য মৃত্যুহারকে ১ শতাংশেরও নিচে নামিয়ে আনা।”
ভারত ইতিমধ্যেই প্রতিদিন ৭ লক্ষ টেস্ট করছে, ভবিষ্যতে পরীক্ষার পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ,তেলাঙ্গানা,মহারাষ্ট্র অন্ধ্রপ্রদেশের মত বেশকিছু রাজ্য যেখানে পজিটিভ কেসের সংখ্যা বেশি এবং টেস্টের সংখ্যা কম সেখানে নমুনা পরীক্ষা ও নজরদারির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
আজকের এই বৈঠকে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের যুগ্মমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে দেশের
মোট আক্রান্তের ৮০ % রোগী এই ১০টি রাজ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী।
দশ রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু আর উত্তরপ্রদেশে গতদিন রেকর্ড আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আবহে এই নিয়ে সাত বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদী। আগস্টের শুরু থেকেই গোটা দেশে তৃতীয় দফার আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার দরুন গত সপ্তাহে প্রতিদিন ৬০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির শারীরিক অবস্থার অবনতি
এদিন করোনার পাশাপাশি অতি বর্ষণের ফলে
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও দীর্ঘ পর্যালোচনা হয়। কেরল, কর্নাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম আর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরামর্শ করলেন প্রধানমন্ত্রী ।