ইসলামাবাদ, ৮ ই অগাস্ট, ২০২০ : কুলভূষণ যাদব মামলার পিটিশনের জন্য তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরীর নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আদালত সরকারকে মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলভূষণ যাদবের জন্য যথাযথ আইনি প্রতিনিধির ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করে। মামলার শুনানির জন্য ইসলামাবাদ হাই কোর্ট (আইএইচসি) ইতিপূর্বে দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ তৈরি করেছিল। বেঞ্চের প্রধান, চিফ জাস্টিস আতহার মিনাল্লাহ এদিন জানান বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুনানির জন্য তিন সদস্যের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা, প্রোফাইল ফটো পরিবর্তনে শোকপ্রকাশ এয়ার ইন্ডিয়ার
সোমবার দিন হাইকোর্ট, পাকিস্তান সরকারের রজু করা একটি ফাইল পিটিশন পড়ে, ভারতের মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী কুলভূষণ যাদবের জন্য উপযুক্ত আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগের কথা বলে। নতুন বেঞ্চে রয়েছেন চিফ জাস্টিস আতহার মিনাল্লাহ, জাস্টিস আমির ফারুক এবং জাস্টিস মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেব। মামলার আগামী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ। যাদব পঞ্চাশোর্ধ বয়সী এক অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিক। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানি মিলিটারি কোর্ট তাকে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
আরও পড়ুন : দেশের করোনা পরিস্থিতি
ইতিপূর্বে পাকিস্তান ভারতকে যাদবের জন্য উপযুক্ত আইনি সহায়তা প্রদানে বাধা দান করলে, ভারত আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে আপিল করে। হেগ শহরে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আই সি জে) পাকিস্তানকে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মামলাটির প্রায়োগিক পুনর্মূল্যায়ন এবং বিবেচনার দাবি জানায়। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আয়েশা ফারুকী বৃহস্পতিবার দিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে কূটনৈতিকভাবে তারা ভারতকে কুলভূষণ যাদব মামলায় কাউন্সেল পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছিল কিন্তু নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথা অস্বীকার করছে।
আরও পড়ুন : সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে হতে পারে প্রবল বৃষ্টি
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব প্রত্যুত্তরে জানায় পাকিস্তানের তরফে এই ধরনের কোন রকম যোগাযোগের প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। তিনি আরো বলেন পাকিস্তানের এই দ্বিচারিতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পষ্ট এবং ভারত গত এক বছরে ১২ বার আইনি সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করলেও প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়, এভাবে আইসিজে’র রায়ের সরাসরি উলঙ্ঘন করছে পাকিস্তান।