সন্দীপ রায়
সৌমিত্রবাবুকে দেওয়া চিত্রনাট্য দেখার মতো ছিল। যে চিত্রনাট্যটা তাঁকে দেওয়া হল, সেটাই যে হুবহু আউড়ে যাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। সেই চিত্রনাট্যের ওপর আবার তাঁর নিজের গবেষণাটা দেখার মতো। সেই চিত্রনাট্যের ওপর তাঁর চরিত্র নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি লিখতেন। এমনকী সেই চরিত্রটার কোনও মুদ্রাদোষও যদি থাকে, বা যদি দিতে হয়, তাহলে সেটিও আলাদা করে লিখে রাখতেন। আমি বাবার লেখা চিত্রনাট্য দেখেছি। আর বাবার ছাত্রের লেখা দেখলাম। গুরু শিষ্যের লেখা যেন এঈরকম।
বাবা উত্তরণ-এর চিত্রনাট্য লিখছিলেন। কাজটা করতে পারেননি। সেই ছবিটা আর নিশিযাপন ছবিতে সৌমিত্রবাবুকে পেয়েছিলাম। আমার মনে হল, ক্যামেরার সামনে যেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন সত্যজিৎ রায়ের জীবন্ত ঘরানা।
বাবার প্রতিটা জন্মদিনে আসতেন বাড়িতে। একসঙ্গে বসে বাবাকে নিয়ে গল্প করতেন। কি নিখাদ ভালোবাসা!
সব তাঁর স্বপ্নের মতো ছিল। আবেগের মতো ছিল। শুধু একটা জিনিসই মেনে নিতে পারিনি। শেষ কটাদিন এত বেশি করে কাজ করে ফেললেন! এইরকম একটা অসুখের সময়ে কেন যে এত কাজ করতে গেলেন, কে জানে!