মহিষাদল, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ঃ দীর্ঘ কয়েকমাসের লড়াই। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সপ্তাহের শুরুতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অমৃতলোকে পাড়ি দেওয়ার খবর ঐতিহ্যের শহর মহিষাদলে পৌঁছানো মাত্রই মহিষাদলবাসীর চোখে জল। কারণ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যে বড়ই কাছের মানুষ মহিষাদলবাসীর কাছে। সিনেমা জগতে তিনি কাজ করার সময় একাধিকবার এসেছেন মহিষাদলে। মহিষাদল রাজবাড়িতে কাটিয়েছেন একাধিক মুহূর্ত। উৎসবের আলোর রোশনায় যখন মাতোয়ারা সকলে ঠিক সেই সময় মহিষাদলবাসীর হৃদয়ের মানুষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর আসা মাত্রই চোখে অশ্রুধারা থামাতে পারছেন না আর কেউই।
আরও পড়ুন প্রয়াত সৌমিত্র
তিনি যে বড়ই কাছের মানুষ। তাঁকে টিভি ও সিনেমার পর্দায় দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু মহিষাদলবাসীর হৃদয়ের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একদম কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ‘দত্তা’ এবং ২০১৭ সালে পরিচালক সুমন ঘোষের ছবি ‘বসু পরিবারে’ অভিনয় করার জন্য একাধিকবার মহিষাদল রাজবাড়িতে এসেছেন প্রখ্যাত এই অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অনেকে তাকে কাছ থেকে দেখেছেনও। এতো সহজেই যে তিনি অমৃতলোকে পাড়ি দেবেন তা ভাবতেও পারেনি মহিষাদলবাসী। কারোর সঙ্গে গল্প, আবার কারোর সঙ্গে কবিতা পাঠের মাধ্যমে মহিষাদল রাজবাড়িতে থাকাকালীন সকলের সাথে মিশেছেন তিনি। সকলের মাঝে তিনি একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবেই হৃদয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন মহিষাদলবাসীর কাছে। প্রিয় এই অভিনেতা যে এতো সহজেই সকলের হৃদয়ের বাঁধন ছিন্ন করে অমৃতলোকে পাড়ি দেবেন তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি কেউই। মহিষাদল রাজবাড়ির পরিচারক স্বপন চক্রবর্তী বলেন, “উনি যে কয়েকদিন মহিষাদল রাজবাড়িতে এসেছিলেন তখনই নিজের মতো করে আমাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। কখনো গল্প, আবার কখনও আড্ডা, এসবের মধ্যে তিনি সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁর অমৃতলোকে পাড়ি দেবার খবরে সত্যিই আমরা খুব শোকাহত।”