পয়সা দিলে বাঘের চোখও মেলে। এসব প্রবাদ তো আমরা অনেক শুনেছি কিন্তু বাস্তবিক জীবনে বাঘের দেখা পাওয়া তো আর অত সহজ না৷ ঘুরতে গেলেও পর্যটকদের আক্ষেপ থাকে বাঘ দেখতে পেলাম না একটাও৷ যদিও বা দেখা যায় হঠাৎ তাও সে দূর থেকে, আর বেশি কাছে গেলে তো ভয়েই আত্মারাম খাঁচা। দুই চোখ মেলে দেখার অবকাশ তখন থাকেনা। কিন্তু এবার সেই আক্ষেপ আর থাকবে না৷
এবার আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে বাঘের ডেরায়৷ রোমহষর্ক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবেন আপনি৷ পর্যটকদের জন্য আসতে চলেছে নয়া সুযোগ। ট্রেনের ছয়টি কামরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করবে সোজা বাঘের ডেরায়। বাঘের স্বাভাবিক চলাফেরা স্বচক্ষে দেখতে পাবেন । হয়তো দেখা যাবে বাঘ দুপুরের আহার শেষ করে ইয়া বড়ো একটা হাই তুলছে, কিংবা মা বাঘ দুধ খাওয়াচ্ছে বাচ্চাকে।
ইচ্ছে করছে এখনই দেখতে যেতে৷ তার জন্য যেতে হবে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির দুধ্বা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে। জাতীয় উদ্যান রয়েছে এবং এটি একটি পর্যটক কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে উঠছে। তার জন্যই এই বিশেষ ট্রেন৷
বড়ো বড়ো জানালা দেওয়া এই ট্রেনে থাকবে ছয়টি বগি। ট্রেনের মধ্যে বসেই মিটবে বাঘ দেখার সাধ। গভীর জঙ্গলে পর্যটকদের বিভিন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখেই নির্মান করা হয়েছে এই বিশেষ ট্রেনটি। বাঘমশাইদের বিব্রত না করেই গভীর জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ১০০ কিলোমিটার চক্কর কাটবে এই হেরিটেজ ট্রেন, যা পশুপ্রেমী বা জঙ্গলপ্রেমী পর্যটকদের কাছে একটি দারুণ খুশির খবর।