Home কলকাতা বাড়ি বসেই করোনা পরীক্ষার অ্যান্টিজেন কিট বিক্রি শুরু।

বাড়ি বসেই করোনা পরীক্ষার অ্যান্টিজেন কিট বিক্রি শুরু।

by banganews

এবার বাড়িতে থেকেই করোনা-পরীক্ষা সারা যাবে, থাকবে না গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। বর্তমানে দেশজোড়া লকডাউনে গৃহবন্দি থাকতে অনুরোধ করছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য। এর মধ্যে কোভিদ-১৯ এর টেস্ট করানো এখনও বেশ খানিকটা ঝামেলার। সীমিত সংখ্যক হাসপাতালে গিয়ে তবে করাতে হবে পরীক্ষা। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছাতে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হওয়ায়, ফলাফল আসার আগেই মৃত্যু হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর। এবার আর পাঁচটা রক্তপরীক্ষার মতোই বাড়ি বসে হয়ে যাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা। কোভিদ-১৯ পরীক্ষার এই সুযোগ হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে বেঙ্গালুরুর প্র্যাক্টো কোম্পানি। এই কোম্পানিটি থাইরোকেয়ারের সঙ্গে পার্টনারশিপে করোনা টেস্টের এই অভিনব পদ্ধতি তৈরি করেছে। পরীক্ষা পদ্ধতির সুরক্ষা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই, কারণ সংস্থাটি  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের স্বীকৃত।

আরও পড়ুন বন্দে ভারতের চতুর্থ পর্যায়ে কলকাতার জন্য 11 টি ফ্লাইট নির্ধারিত হয়েছে

মার্কিং যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিমেডিসিন সংস্থা ‘হিমস’ প্রথম জানিয়েছিলো তারা অনলাইনে বাড়িতেই স্যালাইভা টেস্ট কিট পাঠানো শুরু করবে, যে কিট দিয়ে সহজেই করোনা পরীক্ষা করা যাবে। এই কিটটি তৈরি হয়েছিলো রুটগার য়ুনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণাগারে। এবার সেই পরিষেবা আমাদের দেশেই। কিন্তু কী ভাবে এই কিট পাওয়া যাবে? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই কিটের জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইট দুটিতে –
https://www.practo.com/covid-test এবং  https://covid.thyrocare.com/
রোগীর ও তার পরিবারের তরফে সেখানে প্রয়োজনে প্রশ্নও করা যাবে,এর পরে বাড়িতে ডাকযোগ ওই কিটটি পাঠানো হলে, সেই কিটে লালারসের নমুনা দিয়ে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ মেনে ল্যাবে পাঠাতে হবে। দিন দুয়েকের মধ্যেই রেজাল্ট জানা যাবে। ভিডিও কনফারেন্সেরে মাধ্যমে সংস্থার সহায়তাও পাবেন পরীক্ষাকারীরা।

আরও পড়ুন অপারেশন থিয়েটারের মতন করে তৈরি করা হবে রেলের কামরা – করোনা আতঙ্ক দূর করতে 

সংস্থার কর্ণধারের কথায় এই মুহূর্তে দিনে ২০০০ টেস্ট নিয়ন্ত্রণ করবেন তাঁরা। পরে ধাপে ধাপে তা বাড়ানো হবে। এখনও পর্যন্ট এই টেস্ট কেবল মুম্বইতেই করা যাবে বলে নিজেদের ব্লগে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
কিন্তু খরচ হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫০০ টাকা।
দেশে যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও বেশি টেস্টিং প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই সরকার প্রতিদিন যাতে আরও বেশি টেস্ট করা যায় সেদিকে নজর দিয়েছে তবুও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলায় অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।

You may also like

Leave a Reply!