দিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধীরা। তুমুল হট্টগোলে রাজ্যসভার অধিবেশন স্থগিতও হয় একবার। তারপর আবার অধিবেশন আরম্ভ হলে ফের বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কক্ষ।
সরকার পক্ষের আনা দুটি কৃষিবিলকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত। বিরোধীদের প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করে ধ্বনিভোটে বিল পাশ করিয়ে নেয় সরকার।
আরও পড়ুন ব্লকে ব্লকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা তৃণমূলের
রঅজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংকে রুলবুক দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ প্যাটেল বলেন, ‘ওঁর গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রক্ষা করা উচিত। কিন্তু আজ ওঁর যে হাবভাব ছিল, তাতে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিরোধীদের দাবিমতো কৃষিবিল দুটি সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে রাজি হননি ডেপুটি চেয়ারম্যান। সোমবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের জবাব স্থগিত রাখার আর্জিও মানেননি তিনি। এর প্রতিবাদেই বিরোধীরা সংসদের উচ্চকক্ষে রীতিমতো হাঙ্গামা শুরু করেন।
ওয়েলে নেমে হট্টগোল করতে থাকেন তাঁরা। সরকারি নথি ছিঁড়ে দেন কয়েকজন। হরিবংশকে হেনস্থারও চেষ্টা করা হয়। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। অধিবেশনও মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন তিনদিন বিপর্যয়? হেল্পলাইন নম্বর দিল সিইএসসি
তবে অধিবেশন আবারও শুরু হলে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। সেই চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় দুটি বিল। কিন্তু বিল পাশের প্রতিবাদের রাজ্যসভার কক্ষ ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন বিরোধী নেতারা। তাঁরা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
সূত্রের খবর, এর পরই উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর বাসভবনে বৈঠকে বসেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং রাজ্যসভার ডেপুটি নেতা পীযূষ গোয়েল।