তমলুক, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ঃ শেষমেশ তমলুক জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন পিনকন চিটফান্ড কান্ডের কর্নাধারের স্ত্রী মৌসুমি রায়।
গত ৩ অক্টোবর পিনকন অর্থলগ্নী সংস্থার কর্ণধার মনোরঞ্জন রায় সহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক। তবে তার আগেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন মনোরঞ্জন রায়-এর স্ত্রী মৌসুমি রায়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিল তাঁরও নাম।অনেক চেস্টা করেও শেষমেশ মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ তমলুকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক থার্ড কোর্ট সঞ্জীব দে’র এজলাসে এসে আত্মসমর্পণ করেন মৌসুমি রায়। তবে আদালতে এসে বিচারকের কাছে তিনি দাবী করেন, তিনি করোনা পজিটিভ । তাঁকে ক্ষমা প্রদর্শন করতে আবেদন করেন মৌসুমি রায়। এর সমর্থনে উড়িষ্যার রায়গঞ্জ জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকার মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা করেন তিনি।
আরও পড়ুন বন্ধ হয়ে গেল চাপদানির ফেক্স ইউনিট, কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক
তার আবেদনের কারনে, মৌসুমি রায় যেহেতু নিজেকে কোভিড পজিটিভ বলে দাবী করেছেন তাই তাঁকে আপাতত অবজার্ভে রাখতে বলা হয় সরকারী হাসপাতালে তাঁর কোভিড টেস্ট করা হবে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরেই মামলার রায়দান করা হবে।মৌসুমির রায় কোন দিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে অভিযোগকারীরা।
পিনকন অর্থলগ্নী সংস্থায় টাকা ফেরৎ না পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় ২০১৭ সালে একটি মামলা রুজু হয়। সেই মামলার সূত্র ধরেই ওই বছরের নভেম্বর মাসে রাজস্থান থেকে পিনকনের অন্যতম ডিরেক্টর মনোরঞ্জন রায় সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ডিরেক্টর অফ ইকোনমিক অফেন্স বা ডিইও-এর আধিকারিকরা। একে একে মনোরঞ্জনের স্ত্রী সহ ২০ জন ডিরেক্টরকে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। মামলার রায় ঘোষনা হলেও অভিযুক্তের তাকিকায় থাকা মৌসুমি পুলিশের নজর এড়িয়ে লুকিয়ে থাকার পর শেষমেশ আদালতে আত্মসমর্পণ।