দুবাই, ২০ অক্টোবর: ছয়টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি আম্বাতি রাইডুর। ৭১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার উপর ভর করে গতবারের IPL চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ৫ উইকেটে জিতল তারা। শেষ ওভারের চার বল আর খেলতেই হল না ধোনিদের। তার আগেই জিতে গেল তারা। রায়ডুর সঙ্গে ডুপ্লেসি ও ডি’ভিলিয়ার্সও যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে।
টসে জিতলেও প্রথম ফিল্ডিং করতে নামে ধোনি ব্রিগেড। রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৬২ রান করে। ১৯.২ ওভারেই সেই রান তুলে ফেলে চেন্নাই সুপার কিংস। যদিও শুরুতে ব্যাটিং গ্রাফ খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না ধোনিদের। মুরলী বিজয় ও শেন ওয়াটসনকে শুরুর দিকেই খোয়ায় CSK। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর ট্রেন্ট বোল্ট এবং জেমস প্যাটিনসন চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। এলবিডব্লিউ হন দুই CSK ব্যাটসম্যান। তবে হাল ধরেন ডুপ্লেসি ও আম্বাতি রাইডু।
আরও পড়ুন ১০ টাকায় ডাল ভাত সবজি
এদিকে জসপ্রীত বুমরার মতো বোলার নিয়েও মাঝখানে ডুপ্লেসি ও রাইডু জুটিকে ভাঙতে পারেনি রোহিতের দল। তবে রায়ডু ও ডুপ্লেসি জুটি যখন ভাঙল তখন ২৪ বলে ৪২ রান করতে হবে CSK-কে। রবীন্দ্র যাদেজা ১০ রান করে আউট হন। ছিলেন স্যাম ক্যারেনও । ১৮ রান করেন তিনি। শেষে অবশ্য ধোনি ও ডিভিলিয়ার্স ম্যাচকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। এই ম্যাচে ডিভিলিয়ার্সের সংগ্রহ ৮৮ বলে ৫৫ রান।
CSK-এর শুরুর দিকটা খারাপ হলেও MI-এর শুরুর দিকটা ভালোই ছিল। রোহিত ও কুইন্টন ডিকক ওপেন করতে নামেন। দীপক চহারের বলে শুরুতেই বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন রোহিত। শুরুর চারটে ওভার ভালোই টানেন ওপেনিং জুটি। এরপর স্পিন দিয়ে বাজিমাত করেন ধোনি। পীযূষ চাওলাকে বল করতে পাঠান ক্যাপ্টেন কুল। ১০ বলে ১২ রান করে পীযূষ চাওলার বলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রোহিতকে। পরের ওভারেই স্যাম কারেনের বলে আউট হন ডিকক। দলের স্কোর ১০০ হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবের উইকেট খোয়াতে হয় মুম্বইকে। তবে চতুর্থ উইকেট পড়ে ১২১ রানে। মাত্র ১০ বলে ১৪ রান করে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৫ ওভারের ১২৬ রান করে MI-এর আর ২০ ওভারে ১৬২ রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ানস।
আরও পড়ুন নিউ নর্মালে বিশ্ব সিনেমা খুলছে এক বাঙালির হাত ধরে
আজকের ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ধোনির দুটি ক্যাচ। এতদিন পরে খেলতে নেমেও তাঁকে এতটুকুও অন্যরকম মনে হয়নি ক্রিকেটপ্রেমীদের। সেই ধীর অথচ চঞ্চল- সেই ঠান্ডা অথচ উদ্দাম। সবমিলিয়ে ধোনি যেন আছেন ধোনিতেই।