নয়াদিল্লি, ৭ ই আগস্ট,২০২০ : আজ থেকে চলবে দেশের প্রথম ‘কিষান ট্রেন’। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যেসব শাক-সবজি ও ফল অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায় সেগুলি বিক্রির জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করুক রেল মন্ত্রক। মমতার এই প্রস্তাব দুঃসময়ে বাস্তবায়িত করল ভারতীয় রেল। এর ফলে অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যেও সামান্য লাভের মুখ দেখতে পাবেন কৃষকরা।
২০০৯-২০১০ সালের বাজেটে প্রথম এই প্রস্তাব রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বল্প সময়ে পচনশীল ফল ও সবজি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রেলযোগে সরবরাহ করার পরিকল্পনা পেশ করেন তিনি। এই ভাবনা রূপায়ণের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচ সমেত দ্রুতগতি সম্পন্ন ট্রেন চালানোর কথা বলেছিলেন মমতা। দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষকের স্বার্থে আনা এই প্রস্তাব তৎকালীন সরকার বাতিল করে দিলেও, প্রায় ১১ বছর পর সংকটজনক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন আইপিএলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল বিসিসিআই
আজ থেকে ‘কিষান ট্রেন’। চলবে মহারাষ্ট্রের দেবলালি থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেন এই ট্রেনটির কথা। তিনি আশাবাদী ছিলেন এই ট্রেনের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় এমন সবজি ও ফল দ্রুত বাজারজাত করা সম্ভব হবে ও আর্থিক মুনাফা হবে কৃষকদের। বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল ৭ অগাস্ট থেকে চালু হবে এই পরিষেবা, এবং তারপর থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে কিষাণ ট্রেন চলবে।
নাসিক রোড, মনমার, জলগাঁও, ভুসাবল, বুরহানপুর, খন্ডবা, ইটারসী, জব্বলপুর, সতনা, কটনি, মানিকপুর, প্রয়াগরাজ, দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর সহ অনেক জায়গায় কাঁচা সবজি ও ফল সরবরাহ করবে এই ট্রেন। নাসিক ও সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ফল, তাজা শাকসবজি, ফুল ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন হয়, সঠিক সময়ে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে না পারলে সেগুলি পচে নষ্ট হয়। কম সময়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোচে সংরক্ষণ করে সেই ফসল অন্য জায়গায় বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবে কৃষকরাই।
আরও পড়ুন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২৯৫৪, মৃত ৫৬
আজ সকাল ১১ টা নাগাদ বিহারের উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। ৩২ ঘণ্টার সফরে ১৫১৯ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬:৪৫ নাগাদ দানাপুর পৌঁছবে ট্রেনটি।