Home রাশিফল রাশি মেনে ঘুরে দেখুন পৃথিবী, জেনে নিন কোথায় যাবেন

রাশি মেনে ঘুরে দেখুন পৃথিবী, জেনে নিন কোথায় যাবেন

by banganews

জানা-অজানা বহু জায়গায় ঘোরার লোভ ছাড়তে পারি না আমরা কেউই। তবে কোন রাশির কোথায় ঘুরতে যাওয়া উচিত সেই বিধান রয়েছে জ্যোতিষ শাস্ত্রে। সামনেই গরমের ছুটি পড়তে চলেছে। তার আগে জেনে নিন আপনার রাশির জন্য কোথায় ঘুরতে যাওয়া একদম পারফেক্ট হতে চলেছে।

মেষ রাশি: এই রাশির জাতকরা বোল্ড, সাহসী ও ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন। এঁদের কথা বলতেই রাশিয়ার নাম মাথায় আসে। সেনা হোক বা সাধারণ নাগরিক, প্রত্যেকের মধ্যেই এমন চরিত্র দেখা দেয়। লড়াকু স্বভাব, আপনজনদের নিরাপদে রাখার উন্মাদনা, সকলের প্রতি দয়ালু মনোভব পোষণ করা রাশিয়ানদের চরিত্রে পরিলক্ষিত হয়। তাই মেষ জাতকদের রাশিয়া ভ্রমণে যাওয়া উচিত।

বৃষ রাশি: এই রাশির জাতকরা জীবনে খাবার ও স্বচ্ছন্দ খুব ভালোবাসেন। তাই বৃষ রাশির জাতকদের ইটালি ঘুরে দেখা উচিত। এখানকার পাস্তা, ফাইন ডাইন, ওয়াইন এবং জীবনযাপন প্রণালীতে মুগ্ধ থাকবেন এঁরা। ইকোলজি ও মানুষ সৃষ্ট সৌন্দর্যের ভারসাম্য যুক্ত দেশ এটি। শুক্রের আধিপত্য রয়েছে এই রাশির ওপর। শুক্র শিল্প, ফ্যাশান, সঙ্গীত, সৌন্দর্যের কারক। ইটালিও তার শিল্প, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। বৃষ জাতকরা ইটালিতে এসে ভেনিস, লেক কোমোর মতো অপরূপ সুন্দর স্থান ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।

মিথুন রাশি: মিথুন জাতকরা শ্রেণিকক্ষের সেই ছাত্র, যাঁরা শিক্ষকের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই সঠিক উত্তর দিয়ে দেবে। কথা বলতে ভালোবাসেন। সামাজিক জীব এই রাশির জাতকরা। এক স্থানে খুব বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না এঁরা। তাই ইউনাইটেড কিংডম এই রাশির জাতকদের জন্য আদর্শ স্থান। ইউকে পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। জ্ঞানী মিথুন জাতকদের কাছে এটি স্বর্গরাজ্য। মিথুন জাতকরা আবার নিজের কৌতূক রসের জন্যও পরিচিতি লাভ করে থাকে। উল্লেখ্য, কমেডিক জিনিয়াস স্যার রোয়ান অ্যাটকিনসন থুড়ি মিস্টার বিনের জন্মভূমি এটি।

কর্কট রাশি: আবেগপ্রবণ ও মুডি কর্কট জাতকরা সকলের সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করে থাকেন। এঁরা স্বচ্ছন্দ ভালোবাসেন এবং সবসময় নিজের ভালোবাসার মানুষের দ্বারা ঘিরে থাকতে চান। তাই এই রাশির জাতকদের ক্যানাডা ঘুরে দেখা উচিত। এখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও কানাডাবাসী অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। এ কারণে এখানে প্রচুর ইমিগ্রেন্টের বাস। জল চিহ্ন কর্কট ওষুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। পেনিসিলিন এখানেই আবিষ্কৃত হয়। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা— যাই হোক না-কেন সকলে যাতে সুস্থ থাকে, সে দিকে নজর রাখা হয় এখানে। এ কারণে কানাডিয়ানরা মনস্তত্ববিদ ও থেরাপিস্টদের পিছনে প্রচুর ব্যয় করে। তাই দেরি না-করে কানাডা ঘুরে আসা যেতে পারে।

সিংহ রাশি: এই রাশির জাতকরা রাজার হালে থাকতে ভালোবাসেন। তাই এক্সট্রাভ্যাগেন্ট দুবাই এঁদের ঘোরাফেরার আদর্শ স্থান। এখানে বসবাসকারীরা রাজা-রানির চেয়ে কোনও অংশে কম নন। রাজকীয় আচার-ব্যবহার, সোনা, বিস্তীর্ণ মরুভূমি, দামী রিসর্ট, ফ্যান্সি স্কাই স্ক্র্যাপার, ব্যক্তিগত রেসিং ট্র্যাক, কী চাই? এ সবই পাবেন এখানে। সিংহ জাতকরা সহজেই নিজের প্রতি গর্ববোধ করতে শুরু করেন। দাঁড়ান। তা না-করে দুবাইতে বাস করার গর্ব অনুভব করে দেখতে পারেন আপনি।

কন্যা রাশি: এই রাশির জাতকরা অন্য রাশির ছায়ায় চাপা পড়ে যান। নিজের পরিশ্রম, যত্ন ও বুদ্ধিমত্তার কোনও দামই পান না এঁরা। কন্যা রাশির মতোই ভারতও এর পরিশ্রমী নাগরিকদের জন্য পরিচিত। ভারতে আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, হার্বাল সায়েন্স চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। যা কন্যা রাশির আদর্শের সমর্থক। কারণ শুদ্ধতা ও অন্তর থেকে সুস্থ হওয়ার ওপর বিশ্বাসী কন্যা জাতকরা। ভারতে উন্নতির অনেক অবকাশ রয়েছে। কন্যা জাতকরাও পারফেকশানের পিছনে ছুটে থাকেন এবং পরিশ্রম করে নিজেকে উন্নত করতে চান।

তুলা রাশি: সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার মিশেল এই রাশির জাতকরা। জীবনে ভালোবাসাই প্রত্যাশা করে থাকেন এঁরা। তাই বিশ্বের রোম্যান্সের রাজধানী ফ্রান্স আপনাদের ঘোরাফেরার আদর্শ স্থান। এখানে এসে মনের শান্তি অনুভব করবেন তুলা রাশির জাতকরা। তবে ভালোবাসার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার ছোয়াও রয়েছে এঁদের মধ্যে। মনে রাখবেন ফ্রান্সই লিঙ্গ সাম্য ও নারী অধিকারের জন্য প্রথম আওয়াজ তুলেছিল। উল্লেখ্য তুলা রাশি ভারসাম্যে বিশ্বাসী।

বৃশ্চিক রাশি: এই রাশির জাতকদের হৃদয়ে প্রবেশ করা খুব কঠিন। বলতে পারেন এঁদের মন বরফের মতো শীতল ও জমাটবদ্ধ, ঠিক আইসল্যান্ডের মতো। সেখানে প্রচলিত আছে যে, আইসল্যান্ড আগুন ও বরফের ভূমি। যা বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই। এই রাশির জাতকদের বাইরে থেকে হিমশীতল মনে হলেও এঁদের মনে আবেগের চাপা আগুন জ্বলতে থাকে। উল্লেখ্য আইসল্যান্ডে বিশ্বের কয়েকটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বর্তমান। ফুটন্ত লাভা ও গ্ল্যাসিয়াল জল আপনাকে মিনিটের মধ্যে হাইপোথার্মিয়া প্রদান করতে পারে। আবার এখানে উপস্থিত উষ্ণ প্রস্রবন ও মাড বাথের মধ্যে অসাধারণ গুণ বর্তমান।

ধনু রাশি: এঁরা বিশ্ব ভ্রমণকারী। তাই একটি দেশকে এঁদের ঘোরার পক্ষে আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়াকে এঁদের তালিকার শীর্ষে রাখা যেতে পারে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পশু প্রেমী ধনু জাতকদের জন্য অস্ট্রেলিয়া উপযুক্ত স্থান। এঁরা ওয়াইল্ড এবং পার্টি অ্যানিমাল। রোমাঞ্চ ভালোবাসেন এই রাশির জাতকরা। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁরা নিজেদের রোমাঞ্চ চরিতার্থ করতে পারবেন। রাফ্টিং, শার্ক ডাইভিং, বাঞ্জি জাম্পিং এ সবই তাদের মুক্ত হস্তে আহ্বান জানাচ্ছে। এতেও মন না-ভরলে ক্যাঙ্গারুদের সঙ্গে একটি বক্সিং ম্যাচও খেলে দেখতে পারেন।

মকর রাশি: এই রাশির জাতকদের কেউ খুব একটা ভালো না-বাসলেও, অনুশাসন, কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য ও সততার কারণে অন্যের দ্বারা সম্মানিত হয়ে থাকেন। জীবনে সাফল্য অর্জনই এঁদের একমাত্র লক্ষ্য। বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যা বহুল দেশ চিন নিজের ছাপ ছেড়েছে এবং অর্থনৈতির সুপার পাওয়ারে পরিণত হচ্ছে। যে কোনও মকর জাতকরাই এখানে এসে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারেন। মকর জাতকরা পরিবার ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেয়। চিনে এখনও প্রাচীন সংস্কৃতি উপস্থিতি ধরা পড়ে। ক্যালিগ্রাফি, চা, পরিবারের সঙ্গে চিনা নববর্ষ পালনের ধুম দেখা যায় এখানে।

কুম্ভ রাশি: এই রাশির জাতকদের সকলে অদ্ভূত মনে করেন। কারণ এঁদের চিন্তাভাবনা সময়ের তুলনায় এতই উন্নত, যা কারও মাথায় ঢোকে না। তবে বিশ্ব তা বুঝতে পারে। অসীম ক্ষমতাধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখনই কিছু করে, তা গ্লোবাল ট্রেন্ডে পরিণত হয়ে যায়। এই দেশ সকলকে স্বীকার করলেও, কারও সামনে মাথা নত করে না। আপনারা এই দেশ ও কুম্ভ জাতকদের ভালোবাসতে পারেন, ঘৃণা করতে পারেন, তবে উপেক্ষা করতে পারবেন না। বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন চিন্তাধারাকে এখানে বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করা হয়, যা এই দেশকে উন্নত করে তুলেছে।

 

এখনও চুল থেকে যেতেই চাইছে না দোলের রং? এই ঘরোয়া টোটকাগুলি আপনার জন্য

মীন রাশি: স্বপ্নের জগতে বাস করে এই রাশির জাতকরা। সৃজনশীল ও শিল্পী, সঙ্গীত প্রেমী হন এঁরা। বব মার্লের মতো প্রসিদ্ধ গায়কের জন্মভূমি জামাইকা এই রাশির জাতকদের ঘোরাফেরার জন্য আদর্শ স্থান হতে পারে। কোনও কিছু না-করলে এঁরা নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। পানীয়ের প্রতি আসক্তি রয়েছে এঁদের। জামাইকায় এঁরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কফি চেখে দেখতে পারে। ব্লু মাউন্টেন কফি, স্ট্রং জামাইকান রামের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে এখানে।

You may also like

Leave a Reply!