অনেকেই বলেন সকালে উঠে সবুজ জিনিস দেখা চোখের পক্ষে সুখকর। ধরুন মাঠের’পর মাঠ জুড়ে সবুজ ধান হয়ে রয়েছে, কিংবা ঘাসে ভরা সবুজ মাঠ, বা লতা-পাতা আগাছায় ভরা কোনো হরৎক্ষেত্র, মনিটর, ল্যাপটপ বা ফোনের দিকে তাকিয়ে সারাদিন কাজের পরে কিংবা একটানা অনলাইন ক্লাসের পরে মাঝে মধ্যেই অসহ্য যন্ত্রণা, তারপরে এমনি একটা পরিবেশ দেখতে ইচ্ছে করবে না, বোধ হয় এরকম মানুষ কমই আছেন।
প্রবাদেই আছে, ‘চোখ থাকতেও অন্ধ’ কথাটি, তাই টানা কাজের পরে যদি চোখের জন্যও একটুও না ভাবেন তাহলে প্রবাদটি সত্যিতে পরিনত হতে বিশেষ দেরি হবেনা। তাই সময় থাকতেই একটু যত্ন নিন চোখের। রোজ নিয়ম করে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন, কিংবা কাজ করার পরে উঠে চোখ বুজে একবার ক্লক ওয়াইজ একবার অ্যান্টি ক্লক ওয়াইজ ঘুরিয়ে চোখের একটা ম্যাসাজ নিয়েই দেখুন না, দেখবেন ভালো থাকবে চোখ।
এছাড়া দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে খাদ্যের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনুন। ভিটামিন এ, ই, সি ও জিঙ্ক জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খাওয়া শুরু করুন। ছোটো- বড়ো সামুদ্রিক মাছ, ফল শাক-সব্জি খাওয়া শুরু করে দিন অবিলম্বে। এছাড়াও মনে রাখবেন ক্যারোটিনয়েড জাতীয় খাবার যেমন ডিম- শাক চোখের জন্য বিশেষ জরুরি। তাই পিৎজা বার্গার পছন্দের তালিকা থেকে সরিয়ে এসবের জায়গা করে দিন।
প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট রুটিনে শুরু করুন শরীরচর্চা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা আলোর মাত্রা স্থীর রেখে কাজ করুন কোনো স্ক্রিনে। এতে চোখ ভালো থাকবে, ভালো থাকবেন আপনিও। আসবেনা চোখে পাওয়ার। অযথা আর নাকের আগায় মোটা কাঁচের চশমা বহন করতে হবে না চোখের মালিককে। আট থেকে আশি সকলের মধ্যেই তৈরি হওয়া উচিত এই সচেতনতা।