মহিষাদল, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ঃ আত্মীয় সম্পর্কের এক নাবালিকার সঙ্গে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। যা পরিবারের লোকজন জানাজানি হতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে গলার নলি কেটে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল প্রেমিক- প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহিষাদলের সতীশচন্দ্র সামন্ত হল্ট রেলস্টেশনের কাছে প্রেমিক- প্রেমিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। এরপর স্থানীয় মহিষাদল থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন নন্দকুমার ব্লুকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের
গত বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। মহিষাদলের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুম্ভচক গ্রামের অসীম ঝুলকি(২৪) পেশায় একজন ভিন রাজ্যের শ্রমিক। পাশের গ্রাম বাসুলিয়ার আত্মীয় সম্পর্কের এক নাবালিকার সঙ্গে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল প্রেম পর্ব। এর মাঝে পরিবারের লোকজন তা জানতে পারে। যাতে পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই প্রেমিক- প্রেমিকা একইসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অনুমান। ওই নাবালিকা বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ প্রেমিক প্রেমিকার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সতীশ চন্দ্র সামন্ত হল্ট রেলস্টেশনের কাছে তাদের গলার নুলি কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মানুষজন ও তৎপরতায় মহিষাদল থানার খবর দেওয়া হলে মহিষাদল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এরপর উভয়কে উদ্ধার করে প্রথমে বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। প্রাথমিকভাবে প্রেমে বিঘ্ন হওয়ার ফলেই এই ধরনের আত্মহত্যার চেষ্টা বলে অনুমান। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।