কলকাতা, ১৪ ই অগাস্ট, ২০২০ : অষ্টম শ্রেণী পাশ করলেই যে চাকরি মিলতে পারে, তার জন্য আবেদন করেছেন বহু উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক। রাজ্য সরকারের বন সহায়ক পদে হাতি তাড়ানোর কাজের জন্য জমা পড়েছে ২০ লক্ষ আবেদন। স্থায়ী কর্মচারী হিসেবেও নয়, মাসিক মাত্র ১০ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে হবে নিয়োগ। তারজন্যই আবেদন করেছেন পিএইচডি, এমএসসি, এমএ পাশ করা যুবকেরা।
আরও পড়ুন : বেতন বৃদ্ধির দাবীতে সোদপুরে বিক্ষোভ ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির কর্মীদের
শূন্যপদ মাত্র ২০০০, গত বুধবার ছিল আবেদন করার শেষ দিন। জানানো হয়েছিল কোনও পরীক্ষা নয়, শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমেই উক্ত পদে নিয়োগ করা হবে। তবে আবেদনকারীর সংখ্যা এবং যোগ্যতা দেখে আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বেকারত্ব ঘোচাতে নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র শিকেয় তুলে রেখে বনভূমির পাহারাদার হতেও রাজি তাঁরা।
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার ধাঁচে ‘বন সহায়ক’ পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল। এই বিপুল সংখ্যক আবেদন আশা করেননি বন বিভাগের কর্তারা। ৪টি বড় ট্রাংকেও রাখা যায়নি সব আবেদন পত্র, অবশেষে ৪৫ টি বস্তায় সেগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শ্রীনগরে জঙ্গি হামলা, শহীদ ২ পুলিশ আধিকারিক
এই পদে নিয়োগের জন্য তৈরি করা হবে তিন সদস্যের একটি ইন্টারভিউ বোর্ড। তাঁদের মধ্যে দুজন ডিএফও এবং একজন চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট। রাজ্যের ২৪ টি জেলাকে ৯ টি জোনে ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পুরুলিয়ার ডিএফও বলেন, “প্রতিদিন ৬ ঘন্টায় সর্বাধিক ১০০ জনের ইন্টারভিউ নিলেও জমা হওয়া আবেদনপত্র থেকে কর্মী নিয়োগ করতে সময় লাগবে কমপক্ষে ১০০০ দিন”
রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রকৃত আবেদনকারীর সংখ্যা স্ক্রুটিনির পরেই জানা যাবে, প্রয়োজনে ইন্টারভিউ বোর্ডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এমনকি, শনি-রবিবারও ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে।”