Home বঙ্গ গাঙ্গেয় শুশুক সংরক্ষণে বাড়তি সতর্কতা বনদফতরের

গাঙ্গেয় শুশুক সংরক্ষণে বাড়তি সতর্কতা বনদফতরের

by banganews

২০১০ সালে পশ্চিম বঙ্গের ‘জাতীয় জলজ প্রাণীর’ আখ্যা পায় গাঙ্গেয় ডলফিন বা গঙ্গার শুশুক ৷ এই জলজ প্রাণীটির বিচরণ ক্ষেত্র হিসাবে বন দফতর মনে করছেন, কেতুগ্রামের কল্যাণপুর থেকে কাটোয়ার কাছে ভাগীরথী ও অজয় নদের মোহনা পর্যন্ত। লুপ্তপ্রায় এই জলজ প্রাণীটিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হচ্ছেন বন দফতর।

ডলফিন হত্যায় কঠোর ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও প্রায়ই মৃত ডলফিন ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে গঙ্গার বিভিন্ন জায়গায়৷ এদিন অজয় – ভাগীরথীর সঙ্গম স্থলে পাওয়া গেল দুটি মৃত ডলফিনের দেহ। তারপর থেকেই আবারও তৎপর বন দফতর।

সূত্রের খবর, বন দফতর কর্তৃক এলাকাটিতে বাড়তি নিরাপত্তার কারণে ডলফিনরা বংশ বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে, গত বছর এলাকাটিতে প্রায় ১১ টি নতুন ডলফিনের জন্ম হয়েছে৷ কল্যানপুর থেকে পাটুলি পর্যন্ত অন্তত পক্ষে ৩০ টি ডলফিন বিচরণ করে। সেই অঞ্চলেও এবছরে বেশ কিছু ডলফিন সন্তান প্রসব করেছে।

কল্যাণপুর থেকে কাটোয়ার একটি বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বনদফতর। সাধারণ মানুষকে ডলফিন সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তাঁরা। নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাঙ্গেয় ডলফিন মারা যাওয়ার অভিযোগের তীর উঠছে স্থানীয় জেলেদের উপর। মাছ ধরার সময় জালে ডলফিন আটকালে জাল বাঁচাতে ডলফিন পিটিয়ে মারছেন জেলেরা। বনদফতরের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

ভাগীরথীর কেতুগ্রাম-কাটোয়া অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় ব্যানার, পোস্টার লাগিয়ে এমনকি মাইকিং করেও প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন প্রশাসন। এত কিছু উদ্যোগের পর ডলফিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তারা বেশ কিছুটা আশাবাদী। তাদের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হলে ডলফিন হত্যা অনেকটাই কমতে পারে।

You may also like

Leave a Reply!