Home স্বাস্থ্য এখন জ্বর হলেই কি করোনা? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

এখন জ্বর হলেই কি করোনা? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

by Webdesk

এখন জ্বর হলেই কি করোনা? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

আবহাওয়া দ্রুত বদলাচ্ছে। কখনো গুমোট গরম, আবার কখনো বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো আবার একটু বৃষ্টির পর হালকা ঠাণ্ডা আমেজ। এই সময় ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর লেগেই থাকে। এখন চিন্তার বিষয় এগুলি তো করোনা সংক্রমনের উপসর্গ। তাই অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাহলে কি জ্বর হলেই করতে হবে কোভিড 19 টেস্ট। হাসপাতালে যেতে হবে নাকি কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে?

আরো পড়ুন:বন্ধ হয়ে গেল কলকাতা বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র

কীভাবে বোঝা যাবে যে করোনা হয়েছে নাকি সাধারণ জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা ? চিকিৎসকরা বলছেন জ্বর সর্দি-কাশি হলে আমাদের মাথায় আসছে করোনা কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয় কারণ করোনা ছাড়াও জ্বর সর্দি কাশির অন্য অনেক কারণ আছে। যেমন সিজনাল ফ্লু এন্ড কোল্ড এ্যান্ড কাফ ইনফেকশন
করোনাতে ইনফেকশনের মাত্রা অনেক বেশি এবং এটি একজনের থেকে অতি দ্রুত আরেকজনের মধ্যে ছড়ায় । কিন্তু অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি এত দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় না।

আরো পড়ুন:এ রোগের নজর কিন্তু মেয়েদের দিকেই, সাবধান
আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে ।জ্বর হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কিন্তু জ্বর যদি বাড়তে থাকে, অস্বস্তি যদি না কমে, তাহলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন । চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন প্রি সিম্পটম্যাটিক কেসে ওপিডি তে ওষুধ দিয়ে বাড়িতেই হোম আইসোলেশন থেকে চিকিৎসা চলতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে বয়স্ক এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এমনিতেই কম। তাই তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার নেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন। তবে সেক্ষেত্রেও জ্বর হলে দিন দুয়েক অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন:করোনার মতো বিপর্যয়ে দুঃস্থ যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের সহায়তা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হবে ‘বইঠেক” এর বিশ্বব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানটি

সাইক্লোন আম্ফানের পর অনেকেরই জ্বর সর্দি কাশি এসব হচ্ছে। বেশিরভাগই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর টেস্ট করে দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট নেগেটিভ। চিকিৎসকদের পরামর্শ জ্বর হলে সাধারণ জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল প্রাথমিকভাবে সেটাই দিতে হবে। বারবার থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনে একটা চার্ট-এ লিখে রাখা, এরপরও যদি জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীকে দেখাতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের বেশি বয়সের শিশুরা মাস্ক ব্যবহার করতে পারছে এবং নিজেরাই ডাক্তার দেখাতে গেলে হাত পেতে স্যানিটাইজার চেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু পাঁচ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বা স্যানিটাইজার একটু অসুবিধে। তাই তাদের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বাড়িতে রাখা প্রয়োজন।
ভয় না পেয়ে জ্বর সর্দি ইত্যাদি হলে অনেক বেশি সতর্ক থাকার এবং সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা

আরো পড়ুন:নিয়মের বেড়াজালে শুরু হচ্ছে শ্যুটিং! কী বলছেন বলিউড থেকে হলিউডের পরিচালকমহল

You may also like

Leave a Reply!