ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও গ্রিস, মৃত কমপক্ষে ২৬ জন। ভূমিকম্পে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এথেন্স ও ইস্তাম্বুল৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের ইজমির ,শুক্রবার তুরস্ক এবং গ্রিসের দ্বীপ সামোসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭।
ইউরোপিয়ান-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৬.৯, যার কেন্দ্রস্থল ছিল সামোস থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং তুরস্কের উপকূল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। কম্পনের পর আফটার শক হয়েছে প্রায় ১৯৬ বার৷
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে হু হু করে প্রচন্ড তোড়ে ছুটছে জল। ভেঙে পড়েছে সরকারি ভবন সহ বহু বাড়ি।আজিয়ান সাগরে সৃষ্ট এই ভূকম্পনে তছনছ হয়ে গিয়েছে গ্রিসের রাজধানী এথেন্স সহ একাধিক জায়গা এবং তুরস্ক।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুলগেরিয়াও।
এবছর কোজাগরী পূর্ণিমার আনন্দের আলো ম্লান
তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরিতিন কোকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ইজমিরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১২০ জন আহত। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ৩৮টি অ্যাম্বুলেন্স, ২টি হেলিকপ্টার এবং ৩৫টি চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে।ইজমিরে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি বিশালাকার বহুতল। এরিয়াল ফুটেজে গোটা শহরের ধ্বংসস্তুপের ছব দেখা গিয়েছে। বড় বড় বহুতলের ধ্বংসস্তুপ থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। জনবহুল শহরে এই ভুমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই অনুমান। আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ৬.৮ ম্যাগনিটিউডের এক ভূমিকম্পে পূর্ব তুরস্কে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ ১৯৯৯ সালে ৭.৬ ম্যাগনিটিউডের এক ভূমিকম্পে ইস্তাম্বুলে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার মানুষের।