কলকাতা,১০ অগাস্ট,২০২০: বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আর মাত্র মাস দুয়েক বাকি। তবে এবার শারদানন্দ অনেকটাই ফিকে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বজুড়ে বিষাদের সুর। এই সুরকে ছাপিয়ে দেবীর আগমনবার্তা বাঙালি মননে কতটা আনন্দের সঞ্চার করবে তা নিয়ে সন্দিহান পুজো উদ্যোক্তারাও। বাড়তি নিয়মের ঘেরাটোপেই কাটবে এবারের পুজো। তাই বিকল্প পরিকল্পনা নিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন আর টাকা চাই না, পদক জয়টাই শেষ কথা – পি ভি সিন্ধু
নতুন জামাকাপড়ের পাশাপাশি ফেস মাস্ক বা ফেস কভারও এবার পুজোর অঙ্গ হতে চলেছে। ঢাকের বাদ্যি শুনে মন যতই ব্যাকুল হোক, প্রতিমা দর্শনেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। তবুও করোনা আবহেও বাঙালি যাতে পুজোর আনন্দ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত না হয়, তার জন্য পুজো কমিটিগুলি একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। দক্ষিণ কলকাতার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তিনটি পুজো কমিটি ‘ড্রাইভ-ইন’ দর্শনের ব্যবস্থা করেছে। এই ব্যবস্থায় দর্শনার্থীরা গাড়িতে বসে গাড়ির গতি কমিয়ে প্যান্ডেল এবং প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। সেই সুযোগ রেখেই তৈরি হবে প্রতিমা এবং মণ্ডপসজ্জা।
এ প্রসঙ্গে বাদামতলা আষাঢ় সংঘ পুজো কমিটির সদস্য কপিল দেব পাঠক জানিয়েছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, তাই আমাদের এমন একটি ধারণা নিয়ে ভাবতে হয়েছে যাতে প্যান্ডেলে বেশি ভিড় এড়ানো যায়। আমাদের পৃষ্ঠপোষক, টেক্সাসে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালি মৃদুল পাঠক ভিডিও কনফারেন্সের সময় এই ‘ড্রাইভ-ইন’ এর আইডিয়া দেন। আমরা তা বাস্তবায়িত করার কথা ভাবি।” তিনি আরও জানান, “প্রতিটি মণ্ডপে ঢোকার আগে গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ করা হবে। ‘ড্রাইভ-ইন’ দর্শনের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট রুট। বাদামতলা থেকে ৬৬ পল্লীর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বাদামতলার মণ্ডপসজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে। নেপাল ভট্টাচার্য রোডের দুর্গাপুজো দিয়ে এই দর্শন শেষ হবে।”
আরও পড়ুন আত্মনির্ভর ভারত গঠন! এবার ১০১টি প্রতিরক্ষা যন্ত্রাদির আমদানি বন্ধ করল মন্ত্রক
পুজোর থিম প্রসঙ্গে কপিল দেব পাঠক বলেন, “এই বছর সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা অপু ট্রিলজিকে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি। বাদামতলা ‘পথের পাঁচালী’, ৬৬ পল্লী ‘অপরাজিতা’ এবং নেপাল ভট্টাচার্য রোডের পুজো ‘অপুর সংসার’-কে ফুটিয়ে তুলবে তাদের মণ্ডপে।”