তমলুকঃ নিম্নচাপের কারনে টানা বর্ষন। সেই সঙ্গে অমাবস্যার ভরাকোটালে সমুদ্র, নদী, খাল বিলের জল বেড়ে গিয়েছে। জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা এবং নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। যে কোনো মুহুর্তে সমুদ্র ও নদীর পাড় ভেঙ্গে বা উপচে জল লোকালয়ে ঢুকে বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। তবে এলাকার মানুষের চিন্তা দূরকরতে জেলাপ্রশাসন তৎপর রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।টানা তিনদিনের অতিবৃষ্টি ও রুপনারায়ন, হুগলী, হলদি নদীর জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের, কোলাঘাট, মহিষাদল, তমলুক,হলদিয়া,পাঁশকুড়া অামতলিয়া, বসন্তিয়া ও দারিয়াপুর অঞ্চল,কাঁথি-৩ ব্লকের কানাইদীঘি ও কুমিরদা অঞ্চল, ভগবানপুর – ২ ব্লকের বরোজ ও অর্জুননগর,খেজুরী-১ ব্লকের টিকাশী ও বীরবন্দ অঞ্চল,খেজুরী-২ ব্লকের জনকা ও নিজকশবা প্রভৃতি অঞ্চলের তীরবর্তী এলাকা সমূহ প্লাবিত হয়েছে। ধানজমি,মাছের ভেড়ী সহ অানাজ ও সব্জীর ফলনের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন ফের করোনার বলি পুলিশ আধিকারিক
এমনিতেই সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া আমফান দুর্যোগে ঘরবাড়ি সহ মৎস্য চাষ,অানাজ ও সব্জীর ফলনের প্রভূত ক্ষতি সাধিত হয়েছিল।তার উপর মারণ করোনা ভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন জনিত কারণে কর্মহীনতায় মানুষ জেরবার ছিলেন। তার পরে রসুলপুর নদীর বাঁধ ভেঙে ও জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন চিন্তায় রয়েছে। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জেলার সমস্ত বিডিও তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার, ত্রিপল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। যে সমস্ত এলাকার মানুষ জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন তাদের নিরাপদ স্থানে রাখা ও তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তির পাশাপাশি স্থানিয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহিষাদল ব্লকের সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাধারন মানুষ সাথে কথা বলার পাশাপাশি সমস্যা দূর করার ব্যবস্থা করেন। একদিকে নিম্নচাপ অন্যদিকে করোনা ভাইরাস। দুইয়ের মাঝে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাধান মানুষ।